পার্শ্ব শিক্ষক আন্দোলন কোন দিকে যাবে? বুদ্ধিজীবীরা, রাজনৈতিক দলেরা সত্যিই কি এ নিয়ে ভাবছেন? পথে বসা অনশনরত শিক্ষকরা কি সমাজের কেউ নয়, কিছু নয়!
ছাত্র সমাজ যুব সমাজ গেল কোথায়?

লজ্জা
তমাল সাহা

মাথার উপর দিয়ে চলে যায় কর্কটক্রান্তি রেখা
উত্তরে পার্বত্য প্রদেশ
দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর বিধৌত জলধারা বয়ে যায়
হেতাল ও সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে ছুটে যায় লবনাক্ত বাতাস
পশ্চিমের বালুকাবেলাভূমে ভেঙে পড়ে আরব সাগরীয় ঢেউ
দক্ষিণ মহাসাগরীয় তীরে
বিদেশি বাণিজ্য তরী এসে ভেড়ে
রাষ্ট্র রাষ্ট্রীয় উল্লাসে খুলতে থাকে তার পোশাক
তার গা থেকে সরিয়ে ফেলে ত্রিবর্ণ পতাকা
অশোক চক্র বেপথুমনা হয়ে পড়ে
খুলে পড়ে মা মাটি মানুষের বর্ণসজ্জা
সব কা সাথ সব কা বিকাশ-এর
আঁচল উড়ে যায় হাওয়ায়
রাষ্ট্র উলঙ্গ হয়ে শারীরিক অঙ্গভঙ্গি করে কামার্ত স্বরে।

বর্গীয় জ-য়ের দ্বিত্ব হওয়ায়
লজ্জা শব্দটি নিজের বিস্তৃত প্রাবল্যে আরো লজ্জিত হয়ে
মাথা নীচু করে কোথায় লুকাবে মুখ ভাবতে থাকে।

রাষ্ট্র এখন নাগরিক নীরবতার পরীক্ষা নেয়।
চারদিক শুনশান, নিথর নিশ্চুপতা।
অন্ধকার ঘরের ভিতর তীব্র আলো জ্বলে—
লাশকাটা ঘরে শল্য চিকিৎসক রাষ্ট্র,
হাত ভর্তি তার অস্ত্র।

উলঙ্গ রাষ্ট্র সদর্পে পরিদর্শক হয়ে নাগরিক নীরবতা নজরদারি করে,
নগ্নতা দেখিয়ে সন্ত্রাস ছড়ায়।

হেমন্তের বিবর্ণ বেলায়
পাতাঝরার গান শুরু হয়।
শৈত্যপ্রবাহের ভেতরেও গর্ভযন্ত্রণা চলে।
কিছু বৃক্ষ মান্দার, পলাশ শিমূল
লাল ফুল প্রস্ফুটনের প্রস্তুতি নিতে থাকে।

চাপাপড়া মারখাওয়া মানুষরা
এসব জানে বলে চিরকাল তারা লড়ে যায়।
অপমানিত মানুষ
একদিন যথার্থ সম্মানিত হবে
এই জেনে লজ্জা শব্দটি বাঙ্ময় হয়ে ওঠে
রাষ্ট্রের গালে সশব্দে চড় কষায়।