কাঁচরাপাড়ার ছেলে চন্দন রায়, লড়ে যাচ্ছে কোভিডের বিরুদ্ধে।চন্দনকে কুর্নিশ!

লড়াকু চন্দন
তমাল সাহা

গেঁয়ো যোগী ভিখ পায় না— যেমন কালিনগর রোডের চন্দন রায়।
কত লোকের খবর কাগজে ওঠে
ওঠেনা তার খবর
সে থাকে কাঁচরাপাড়ায়।

সকাল-বিকেল নেই, নেই রোদের তেজ
বুকে ভরা শুধু একটি সম্পদ—
দেশপ্রেমের জেদ।
ভগৎ রাজগুরু শুকদেব তার নেতা
আর এসব নেতালোগ তার কাছে কামাইবাজির মদতদাতা।

প্রতিবন্ধীকে দিতে হবে গাড়ি
কাকু! কোভিডে চাল পাঠাতে হবে তাড়াতাড়ি।
নাহিতো ও লোগ ভুখসে মরি!
আমি বলি, চন্দন এ তোর বেশি বাড়াবাড়ি!
আরে ভাই! মানুষকো তো পহেলে বাঁচাও
পার্টি করকে কা করবে বা!
আদমি মর যায় তো
ঝান্ডা কেইসে উঠালে বা।

চন্দন পুরনো কাগজ কেনে
কেনে লোহালক্কর পুরানো কৌটো টিন
এইসব বেচাকেনা করে চলে তার দিন।
ঘরে আছে মা, ভুগছে ক্যান্সারে
কত সব ঝামেলা তার আজব সংসারে।

পুরানো জিনিসপত্র বেচাকেনা–
এই তার পেশা।
নিজের পকেটের টাকা খরচ করে
মানুষের পাশে থাকা তার নেশা।

স্যানিটাইজ করব, মাস্ক বিলি করব।
এই যে দাদা! মাস্ক পরেন নি কেন?
রাস্তায় লোককে ধরে করবে গালাগালি
এই নিন মাস্ক পরুন আগে
তারপর কথা, এইবার কাজে যান লেগে।

এই এক ছেলে চন্দন রায়—
কামাইয়ের শহর বলে পরিচিত
যে শহর,থাকে সেই কাঁচরাপাড়ায়।

এই এক ছেলে
ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ায়।