অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::      লাগাতার বর্ষায় বাড়ছে নদীর জল আর সেইসঙ্গে নদীর বাঁধ নিয়ে বাড়ছে মানুষের আতঙ্ক। যেকোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যেতে পারে একাধিক গ্রাম। ভেসে যেতে পারে জীবন ও জীবিকা। আর এই দুশ্চিন্তাতেই রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে গ্রামের বাসিন্দাদের।

প্রতিবছরই অস্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ। আর জলের তোড়ে প্রতিবছরই তা ভেঙে যায় ।তাই এবার আর অস্থায়ী বাঁধ নয় তারকাটা এবং পাথর দিয়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবিতে সরব এলাকার বাসিন্দারা। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লকের হাপতিয়া গছ গ্রাম পঞ্চায়েতের চিতল ঘাটা এলাকার বাসিন্দারা অবিলম্বে সেখানে স্থায়ী বাঁধ তৈরির দাবি তুলেছেন। সংশ্লিষ্ট বিষয়টি খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার এবং বুধবার সেচ দফতরের কর্তারা এলে তাদের সামনেই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন তারা এবং সেখানে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি তোলেন।

পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলম জানান, প্রতিবছর বস্তা দিয়ে বানানো হয় বাঁধ এবং পরে তা জলের তোড়ে ভেঙে যায় ।প্রতিবছরই এভাবে অস্থায়ী ভাবে বাঁধ নির্মাণ ও মেরামত হচ্ছে। এর জেরে সরকারিভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে অথচ একবার সঠিকভাবে বোল্ডার ও তার কাটা দিয়ে স্থায়ী বাঁধ বানালে এই সমস্যার সমাধান হয়। তেমনি আতঙ্ক থেকে মুক্তি পায় গ্রামবাসীরা। এদিকে নদীর জল ক্রমশ ফুলে ফেঁপে উঠছে। তাতে ইতিমধ্যে বাঁধ ভাঙতে শুরু করেছে। আর তাই ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাপুর,চিতলঘাটা,কাজী গছ,আদ্রা গুড়ি সহ একাধিক গ্রামের প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ আতংকে দিন কাটাচ্ছে। একদিকে করোনা আতংক আর অন্যদিকে বাঁধ ভাঙ্গার আতঙ্কে দিশেহারা সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলির বাসিন্দারা । তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি সেচ দপ্তরে জানানো হলেও সমস্যা সমাধান হয়নি আদৌ।

এলাকার বাসিন্দা গুলাম মুস্তাকিম, পেয়ার আলী ও হাসিবুল রহমানরা বলেন, অবিলম্বে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রয়োজন। এলাকার বাসিন্দারা এর জেরে সবসময় আতঙ্কে থাকেন। তারা জানিয়েছেন, এবার যেন কোনোভাবেই বস্তা দিয়ে কোনরকম দায়সারাভাবে অস্থায়ী ভাবে বাঁধ নির্মাণ না হয়। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা।

যদিও ইসলামপুর সেচ দপ্তরের আধিকারিক লিটন বর্মন জানিয়েছেন , সামগ্রিক বিষয়টি গ্রামবাসীদের লিখিতভাবে জানাতে বলা হয়েছে। তা জানানো হবে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে। সেখান থেকে যেভাবে নির্দেশ আসবে সেভাবেই কাজ করা হবে। তবে এখন এই বর্ষার মুহূর্তে আদৌ সেই কাজ করা সম্ভব নয়।