নিজস্ব সংবাদদাতা,অবতক খবর :: ইসলামপুর:বিকেল পেরিয়ে অন্ধকার নামতেই তিস্তার সাব ক্যানেলের মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। দিনের-পর-দিন এভাবেই অবৈধভাবে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি মাটি কেটে নিয়ে গেলেও প্রশাসনিক কোনও হেলদোল নেই। আর এর জেরে নষ্ট হতে চলেছে সরকারি সম্পত্তি।
ইসলামপুর ব্লকের রামগঞ্জ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কলতাহার গ্রামে গিয়ে দেখা গেল কৃষিতে সেচের জল দেওয়ার জন্য বহু বছর আগে কংক্রিটের যে তিস্তার সাব ক্যানেল তৈরি করা হয়েছিল এবং তৈরীর সময় দুদিকে মাটি দিয়ে উঁচু করে দেওয়া হয়েছিল জায়গাটিকে, সেখানকার মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অনেকেই। মাটি কাটতে কাটতে জায়গাগুলো ক্রমশ বিপদজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। মাটি কাটার সময় মাটির চাঁই পড়ে গিয়ে জনৈক বাসিন্দা মৃত্যুর হাত থেকে ফিরে এলেও সমস্যা সেই তিমিরেই।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা এ বিষয়ে বারবার সতর্ক করলেও আদৌ কোনো লাভ হয়নি। এর ফলে তিস্তার সাব ক্যানেলের একাধিক জায়গা ক্রমশ বিপদজনক অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়বে ক্যানেলটি। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে তিস্তা ক্যানেল চালু হওয়ার পর ওই সাব ক্যানেল দিয়ে কৃষকদের জন্য সেচের জল আসবে।
তার আগেই যদি সেটি ভেঙে যায় তবে সেই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হবেন এলাকার কয়েক শতাধিক কৃষক। কলতাহার এলাকার বাসিন্দা সাবির আলম জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এভাবেই মাটি চুরি যাচ্ছে। ব্যক্তিগত কাজে ওই ক্যানেল সংলগ্ন এলাকা থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। বার বার বাধা দিয়েও লাভ হয়নি কিছুই। এভাবে চলতে থাকলে যেকোনো মুহূর্তে মাটি ধসে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে রামগঞ্জ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের পঞ্চায়েত সদস্য লাল মহম্মদ জানান, বিষয়টি তার নজরে এসেছে। ফের এ বিষয়ে গ্রামবাসীদের সচেতন করা হয়েছে। যদি এর পরও আবার তারা অবৈধভাবে সেখানকার মাটি কাটতে যায় তবে বিষয়টি পুলিশকে জানানো হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ইসলামপুর মহুকুমা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।