অবতক খবর,৮ ফেব্রুয়ারি : লোকসভায় অসংসদীয় শব্দ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। তার পরই বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অনেক নেতা মহুয়ার সমালোচনা করেছেন। পাশাপাশি সংসদ বিষক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী মহুয়াকে ওই শব্দবন্ধ ব্যবহারের জন্য ক্ষমা চাইতেও বলেছেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ার রাস্তায় যে তিনি হাঁটবেন না তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। উল্টে নিজের অবস্থানে অনড় রয়েছেন মহুয়া। আত্মপক্ষ সমর্থনে তিনি বলেছেন, “আপেলকে আপেলই বলব, কমলালেবু নয়।” মহুয়া নিজের অবস্থানে অনড় থাকলেও, বিজেপি সাংসদ ও প্রাক্তন অভিনেত্রী হেমা মালিনীর তীব্র কটাক্ষ ভেসে এসেছে মহুয়ার দিকে। মহুয়ার ওই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে জিভে লাগাম টানার পরামর্শ দিয়েছেন হেমা মালিনী।

আদানি ইস্যুতে গত কয়েক দিন ধরেই তোলপাড় হচ্ছে সংসদ। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ধন্যবাদ জানাতে বক্তব্য রাখের মহুয়া। সেই ভাষণে বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছিলেন তিনি। এর পর টিডিপি-র সাংসদ রামমোহন নাইডু বক্তব্য রাখছিলেন লোকসভায়। সে সময়ই হঠাৎ উঠে মহুয়া অশালীন ভাষা প্রয়োগ করেন বলে অভিযোগ। তা নিয়েই সমালোচিত হচ্ছেন মহুয়া। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী বলেছেন, “তাঁদের উচিত নিজের জিভকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। আবেগতাড়িত এবং অতি উত্তেজিত হয়ে পড়া কাম্য নয়। এই সংসদের প্রত্যের সদস্য সম্মাননীয়। তা মাথায় রাখতে হবে।”

এ সবের মধ্যে ঝুঁকতে নারাজ মহুয়া। নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে তিনি সমালোচনার জবাব দিয়েছেন। নিজের মন্তব্য এবং তৎপরবর্তী বিজেপির সমালোচনার প্রসঙ্গে মহুয়া বলেছেন, “বিজেপির সংসদীয় আচরণ শেখাচ্ছে দেখে আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি। আমি আপেলকে আপেলই বলব, কমলালেবু নয়। যদি তাঁরা আমাকে প্রিভিলেজ কমিটিতে নিয়ে যায়, তখন আমি আমার দিকের গল্পও বলব।” এ সবের পাশাপাশি বিজেপির ‘পিতৃতান্ত্রিক’ মনোভাবের সমালোচনাও করেছেন তৃণমূল সাংসদ।