অবতক খবর: দিল্লির আমলাতন্ত্রের রাশ নিয়ে তুঙ্গে কেন্দ্র বনাম কেজরি সরকারের লড়াই। দেশের শাসকদলকে ঘিরে ফেলতে আসরে নেমেছে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ও।
মঙ্গলবার লোকসভায় দিল্লি অর্ডিন্যান্স পেশ করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লির আমলাতন্ত্রের রাশ কার হাতে থাকবে এই নিয়ে টানাহ্যাঁচড়া তুঙ্গে। এই ইস্যুতে কেন্দ্র বনাম কেজরি সরকারের লড়াই জাতীয় রাজনীতিতে চর্চার বিষয় দাঁড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে, যে বিলটি সরকারপক্ষ সংসদে আনতে চলেছে তাতে অর্ডিন্যান্সের কিছু অংশ পরিবর্তন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ৩-এ এবং ৪৫-ডি ধারায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন করেছে। ধারা ৩-এ, যা অর্ডিন্যান্সের অংশ ছিল, প্রস্তাবিত বিল থেকে সম্পূর্ণরূপে মুছে ফেলা হয়েছে। আবার বিলে নতুন বিষয়ও যুক্ত হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সংসদে বিলটি পেশ করতে পারেন।
সূত্রের খবর, লোকসভায় বিলের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বক্তব্য রাখতে পারেন। রাজ্যসভায় দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন-সহ অন্য দলের পক্ষ থেকে আরও একজন বক্তব্য রাখবেন বলেই ঠিক হয়েছে।
গতকালই লোকসভায় বিতর্কিত অধ্যাদেশটি পেশ হওয়ার কথা ছিল। তবে সদন মুলতুবি হয়ে যাওয়ায় তা হয়নি। আজ সেটি সদনের কর্মসূচিতে লিস্টেড হয়েছে। জানা গিয়েছে, সরকারকে ঘিরে ধরার রণকৌশল নিলেও আজ Government of National Capital Territory of Delhi সংশোধনী বিলটি নিয়ে আলোচনায় অংশ নেবেন বিরোধী সাংসদরা। কারণ, সংসদের নিম্নকক্ষে নিরঙ্কুশ হওয়ায় হট্টগোলের মাঝেই প্রায় বিনা আলোচনায় অতীতে বেশ কয়েকটি বিল পাশ করিয়েছে মোদি সরকার। এবারও তেমনটা হোক, চায় না বিরোধী ইন্ডিয়া জোট।
তবে লোকসভায় অর্ডিন্যান্সটি পাশ করাতে সরকারের কোনও সমস্যা হবে না। পরিসংখ্যান বলছে, বিরোধীদের কৌশল হবে রাজ্যসভায় সরকারকে ঘিরে ধরা। তবে উচ্চকক্ষেও বিলটি পাশ করানো নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কেন্দ্র।সংসদে মোদি সরকারের অর্ডিন্যান্স বাণ ভোঁতা করতে হুইপ জারি করেছে কংগ্রেস-সহ অন্যান্য দল।
প্রসঙ্গত, বিলটির মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার দিল্লির আমলাদের নিয়োগ এবং বদলি সংক্রান্ত বিষয়ের ওপর নিয়ন্ত্রণ পেতে চাইছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিলটি নিয়ে প্রথম থেকেই বিরোধিতা করে আসছে আম আদমি পার্টি (আপ)। ইন্ডিয়া জোট তাদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারণ তারা মনে করছে বিলটির মাধ্যমে কেন্দ্র সরকার যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপর আঘাত হেনে রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছে।