শব্দ ও নৈঃশব্দ্যের কথাবার্তা
তমাল সাহা

চিনার পাতার চোখে অশ্রু ঝরে
জাফরান গন্ধ লুকায় বুকে
আপেলগুলি তাকিয়ে আছে মাটির দিকে
শুনশান থমথমে দৃশ্যময়তা—
ভয় পেয়ে গিয়েছেবাতাস
হ্রদের জলে নেই তরঙ্গের অভিঘাত
এমন অপরূপ নীরবতা
কখনো দেখি নাই আমি চরাচরে!

চেরির ডালগুলি এতো মাথা নিচু করে কেন,
ঘাসগুলি প্রতীক্ষায় আছে কার?
চারণ ভূমে লোমশ ভেড়ার পাল চরে না আর!
শায়েরি সংলাপ নিয়ে হয়ে আছে মূক
সুরযণ্ত্রও ভয় পেয়ে যায়
স্পন্দন থেমে যায় কেঁপে ওঠে সন্তুরের বুক।

শুধু একটা গুমরানো চাপাধ্বনি
আর্তস্বরের মতো শোনা যায় দূরে–
উপত্যকায় পাহাড়ে।

কার্ফু শব্দের মানে সান্ধ্যআইন
একশো চুয়াল্লিশ ধারা মানে
বিচ্ছিন্নতার বেদনা
শৃঙ্খলিত-মুক্ত বন্দিত্ব মানে গৃহ-অন্তরীণ।
এটা কোনো পরাধীনতা নয়,
এ এক অন্য জীবন অনন্য স্বাধীন!

একটি ধারা বাতিল করতে
সব আলো নিভে যায়
জীবন থাকে রাষ্ট্রীয় প্রহরায়…
এতো বিশাল আয়োজন!
সেটা ভালো কি মন্দ কতদূর যায়
বোঝানো নিষ্প্রয়োজন।

আমি সন্ত্রস্ত ভীতুর ডিম
আমি বলি না কিছুই—

বুটের শব্দে ভারী হয় জনপদ
আকাশে চক্কর দেয় নজরদারি বিমান।
গণতন্ত্রের মেকআপ মুখে
চেয়ে থাকে মা!
লজ্জাহত অবয়ব, তীব্র অভিমান।