অবতক খবর,৩০ অক্টোবর: আজ কোজাগরী লক্ষ্মী পূর্ণিমা। দুর্গাপুজোর মরশুম শেষ। সপ্তমীতে উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ভিড় ছিল না মণ্ডপে মণ্ডপে। অষ্টমী এবং নবমীতে যে ভিড় দেখা গেল, তাতে দেখা গেল দর্শনার্থীরা বেরিয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ মুখেই মাস্ক নেই। স্যানিটাইজেশনের কি ব্যবস্থা ছিল কে জানে। রাস্তায় পুলিশ ছিল, অর্থাৎ প্রশাসন ছিল। তাদের মাথার উপরে হাইকোর্টের নির্দেশ ছিল।
এই দেশে হাইকোর্ট কি? হাই মানে মাথার উপর দিয়ে চলে যায়? বিভিন্ন মণ্ডপে মণ্ডপে মানুষ গেল। কিন্তু মন্ডপের অধিকর্তাদের,সদস্যদের কাউকেই দেখা গেল না যে তারা মাস্ক-স্যানিটাইজেশনের জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন রাস্তা দিয়ে চলে গেল অসংখ্য দর্শনার্থী মুখে মাস্ক নেই।
রাস্তায় পুলিশ, সিভিক পুলিশ নিরুত্তর, নিশ্চুপ, প্রতিবাদহীন। তারা কি হাইকোর্টকে মান্যতা দেবে না এমনই স্থির করেছে? অনেক প্যান্ডেলে দেখা গেল যে মাস্ক এবং স্যানিটাইজেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। তারা জড়ো করে রেখেছে টেবিলের উপরে। কিন্তু জনগণের মধ্যে বিতরণের যে আকাঙ্ক্ষা, যে আগ্রহ তা দেখা গেল না।
সরকার নয়, হাইকোর্টকে মান্যতা না দেওয়া বা অমান্য করা এই পুজো কমিটিগুলির লক্ষ্য ছিল কে জানে! অনেক পুজো কমিটির নেতাদেরই দেখা গেল বাইরে মন্ডপে বসে আছেন, নিজেদের নেতৃত্ব দেখাচ্ছেন। কিন্তু মুখে মাস্ক নেই। সঞ্চালিকা ঘোষণা করছেন,সঞ্চালক ঘোষণা করছেন নিজেদের মুখে কোন মাস্ক নেই অথচ দর্শনার্থীদের ক্রোনা বিধি মানতে নির্দেশ দিচ্ছেন।
পুলিশকে লক্ষ্য সচেতনতা প্রসারের জন্য যে প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন মহামান্য বিচারক তার মানতা দিতে বিন্দুমাত্র ছিটেফোঁটা গুরুত্ব দিতে দেখা গেল না।
কি হবে এই দেশের, কি হবে এই দশের? জনসাধারণের? মানুষ কি চায়, প্রশাসন কি চায় কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। তারা কি মৃত্যুঞ্জয়ী বীর? দেশের মুক্তির জন্য লড়ছেন? সে তো দেখেছি দেশপ্রেমিকরা যেকোনো বাধা-বিপত্তিকে অগ্রাহ্য করে প্রাণ বিসর্জন দেন। এখানে যে মহাসংকট করোনা, তাকে তারা তুচ্ছ করে প্রাণ দিতে চাইছেন? কি প্রমাণ করতে চাইছেন কে জানে? পশ্চিমবঙ্গ বঙ্গোপসাগরীয় উপত্যকায় কি চলছে, এই ভাবেই চলবে?নেতারাও এ ব্যাপারে নিশ্চুপ। উপরন্তু নেতারা মহামান্য হাইকোর্টকে হুমকি দিচ্ছেন। ‘বাঙালির পুজো,বড় উৎসব আমরা পালন করছি, পালন করবই। হাইকোর্ট যা পারে করে নিক।’ এটা কোন নেতার উত্তর হতে পারে? এই বাংলাকে কারা নৈরাজ্যের দিকে, অপসংস্কৃতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে,এর উত্তর দেবে কে?