অবতক খবর, নয়াদিল্লী: টানা ৬৭ দিন ধরে শাহিনবাগে চলছে এনআরসি, এনপিআর, সিএএ বিরোধী আন্দোলন। জল গড়িয়েছে সুপ্রীম কোর্টে। শেষমেশ শীর্ষ আদালতের নির্দেশে দুই মধ্যস্থতাকারি সঞ্জয় হেগড়ে এবং সাধনা রামচন্দ্রন এলেন শাহিনবাগে, প্রশ্ন উড়ে এলো ‘শুধু রাস্তাটুকুই দেখলেন’।
সঙ্গে আলোচনা টেবিলে চললো দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা। আলোচনা ভেস্তে যেতে গিয়েও সমাধান সূত্রের খোঁজে বুদবুদ করে ফের শুরু হল মত বিনিময়।
‘সব কা সাথ, সবকা বিকাশ’ মন্ত্রে লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদির সরকার দ্বিতীয় বারের জন্য ক্ষমতায়। এটা শুধুই কি একটা রাজনৈতিক অবস্থান! এন আর সি বিরোধী আন্দোলন চলার সময়ে গেরুয়া শিবির থেকে আওয়াজ ওঠে ‘গোলি মারো শালোকে’ প্রশ্ন ছুঁড়ে আসলো মধ্যস্থতাকারিদের দিকে, কিভাবে এমনভাবে চলতে পারে গোটা পরিস্থিতি।
নাগরিকত্ব প্রমাণে কেন কাগজ চাওয়া হবে? দেশদ্রোহীর তকমা দিয়ে মুসলিম বেছে নিয়ে হামলা কেন? আমাদের নিরাপত্তার দায়ভার সরকার নেবে না কেন? জামিয়াতে পুলিশের লাঠি, গুলি বরাদ্দ কেন আমাদের জন্য? প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সিএএ নিয়ে পিছু হঠবেন না, তাহলে শাহিনবাগ কেন আন্দোলন থেকে পিছু হঠবে? এরকমই প্রশ্নের বাণ ধেঁয়ে আসলো আদালত নিযুক্ত মধ্যস্থতাকারিদের দিকে।
এমনই তপ্ত আবহে বৃহস্পতিবার চলবে আলোচনা শাহিনবাগ আর মধ্যস্থতাকারিদের মধ্যে