অবতক খবর,১৮ আগস্টঃ অধীর রঞ্জন চৌধুরী আজ সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন এই সরকার মরণকালে হরিবোল বলে। কোন ঘটনা ঘটার আগে সবকিছু জানা সত্ত্বেও না জানার ভান করে কুম্ভকর্ণের রুপ ধারণ করে শুয়ে থাকেন যখন কোন ঘটনা ঘটে অর্থাৎ যখন কোন মায়ের কোল খালি হয় তখন এই সরকারের ঘুম ভাঙ্গে ঠিক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা হওয়ার পর এখন সরকার নানা রকম মিটিং মিছিল করে তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে তারা যে কত সচেতন সে তা দেখাচ্ছেন।
অধীর বলেন, সবাই সবকিছু জানেন যতক্ষণ না কোন মৃত্যু ঘটনা ঘটে ততক্ষণ এই সরকারের লোকেরা কোন কিছু জানে না মৃত্যু হওয়ার পর চলে এর তৎপরতা। ঠিক এখন তাই হচ্ছে বললেন অধীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তিনি বলেন শুধু যাদবপুর নয় পশ্চিমবঙ্গের সব কলেজেই এই একই হাল, পশ্চিমবঙ্গের কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আর শিক্ষা গ্রহণের কোন অনুকূল পরিবেশ নাই বলে তিনি জানান। তিনি এও জানান ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আজ দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে, তিনি বলেন যেখানে বিরোধীদেরকে রাজনীতি করার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয় সেখানে একটা কলেজে কি হতে পারে সেটাই রাজ্যের কলেজগুলিতে হচ্ছে। তিনি বলেন সমস্ত কলেজ আজ সরকারি দলের দখলে হিরোইন গাজা চর স এসব ছেড়েই দিন। ছাত্র-ছাত্রীরা ঠিকমতো কলেজে পড়াশোনা সুযোগ পাইনা। কলেজের বহিরাগত সিনিয়র দাদাদের অত্যাচারের জর্জরিত আজ ছাত্রসমাজ। অধীর চৌধুরী বলে যাদের সামর্থ্য আছে সেই সব অভিভাবকগণ রাজ্যের বাইরে পাঠিয়ে সেই সব ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষিত করে তোলোবার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, বাংলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপর সাধারণ মানুষের এই অবিশ্বাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যাদবপুর তার একটা ছোট নমুনা, এটা কোন ডিসিস নয় এই ডিসিস পশ্চিমবঙ্গের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে, প্রত্যেকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সেই স্কুল হোক কলেজ হোক সর্বত্র তা ধ্বংসের পথে এগিয়ে চলেছে। তার কারণ একটাই সবকিছু সরকারি দলের দখলে থাকবে, বিরোধী বলে কিছু থাকবে না তাহলেই তো ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শাসকদলের বহিরাগত ছাত্ররা এরকম ভাবে কলেজের মধ্যে মদ গাঁজা ও চরসের আসর বসাতে পারবে। সেখানে শাসকদলের তকমা থাকায় ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারবে না। এই মানসিকতা বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে জানান অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন আজকে শিক্ষা ক্ষেত্রে এই জন্যে পয়সা থাকলে তারা প্রাইভেট অর্গানাইজেশনে চলে যাচ্ছেন। তাদের ছেলেমেয়েদের ভয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ায় না হলে বাংলার বাইরে পড়ায়। এই করেই সরকার শিক্ষাকে ধ্বংস করতে পথে নেমে গেছে।