অবতক খবর,১৮ মার্চঃ ব্যারাকপুর মহকুমায় অর্জুন সিং যেদিন থেকে ঘর ওয়াপসি করেছেন সেদিন থেকেই শুরু হয়ে গেছে সাংসদ এবং বিধায়কের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল। এই লড়াই ক্ষমতার লড়াই। একদিকে রয়েছেন বিধায়করা, অপরদিকে সাংসদ। বিধায়করা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন সাংসদ যাতে সংগঠন মজবুত না করতে পারেন। অন্যদিকে সাংসদ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন যাতে ক্ষমতা তাঁর হাতেই থাকে। ক্ষমতার লড়াই চালাচ্ছেন দুই পক্ষই। তবে এই ব্যারাকপুর মহকুমা অঞ্চলে ইতিমধ্যেই ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলর, সাধারণ কর্মী এবং বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বে যারা রয়েছেন তারা ধীরে ধীরে ভাগ হয়ে যাচ্ছেন। কেউ যাচ্ছেন অর্জুন সিং-এর দিকে, আবার কেউ যাচ্ছেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিকের দিকে। পার্থ-অর্জুন এই দুই গোষ্ঠীর খেলা চলছে। তবে এই নিয়ে দলের উচ্চস্তরে থাকা নেতৃত্বরাও মুখ খুলতে পারেননি।
এদিকে হাল ছাড়েননি পার্থ ভৌমিকও। আজ নৈহাটি বিধানসভার অন্তর্গত শিবদাসপুর অঞ্চলে ‘দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচির একটি বিশেষ পর্বে’ বেরিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন,স্কুলে ভিজিট করলেন, মানুষের সমস্যা শুনলেন,কর্মীদের সাথে একসঙ্গে বসে খাওয়া দাওয়া করলেন পার্থ ভৌমিক। তিনি কর্মীদের প্রশিক্ষণ দিলেন ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচি বিষয়ে।
এই কর্মসূচিতে তাঁর পাশে দেখা গেল নৈহাটি পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জীকে। কিন্তু দেখা গেল না তাঁর পাশে ব্লক সভাপতি রাণা দাশগুপ্তকে। আর আজকের এই চিত্রই পরিষ্কার করে দিয়েছে যে,এই অঞ্চলে গোষ্ঠী কোন্দল চরমে।
এদিকে রাণা দাশগুপ্তকে ফোন করলে তিনি জানান,”আজকে কোন দলীয় কর্মসূচি ছিল না। তিনি আমাকে এ ব্যাপারে কিছুই জানান নি। তিনি যেহেতু চেয়ারম্যানকে নিয়ে গিয়েছেন,সেহেতু আমাদের একবার জানানো উচিত ছিল। তিনি আসলে কি করতে চাইছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। তবে হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন তাঁর সাথে ছিল। আমাকে বললে আমরা আরো কর্মীদের নিয়ে গিয়ে তাঁর এই আনঅফিসিয়াল কর্মসূচিকে সফল করতাম।
অন্যদিকে পার্থ ভৌমিক নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছু ছবি প্রকাশিত করেছেন এবং লিখেছেন,”দিদির সুরক্ষা কবচ একটি বৃহৎ কর্মসূচি যার জন্য দরকার দলগত প্রয়াস। আজকের অঞ্চলে একদিন কর্মসূচিতে আমরা দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করছি এবং তাঁদের সকলকে ‘দিদির দূত’ হিসেবে প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপদেশ দিয়েছি।দলীয় কর্মীদের মানুষের দুয়ারে কীভাবে পৌঁছে গিয়ে কাজ করতে হবে সেই বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং দিদির সুরক্ষা কবচকে বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজনীয়তাকে গুরুত্বের সহিত দেখছি। সর্বোপরি, পুনরায় জোর দিয়েছি যে, আমরা এখানে সমস্ত মানুষের সেবা করতে এসেছি, এবং তাঁদের দরকারগুলিকে সর্বদা যেকোনো প্রকারে অগ্রাধিকার দিতে হবে। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।”
তবে সেই প্রশিক্ষণ শিবিরে অনুপস্থিত থাকলেন ব্লক সভাপতি রানা দাশগুপ্ত।