অবতক খবর,১৪ নভেম্বর: নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার ন’নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় কাঠের মিস্ত্রি রিপন মন্ডলের ঘরে চলতি বছরে এসেছে কন্যা সন্তান। কিন্তু মেয়ের জন্মের কয়েকদিনের মধ্যেই, শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে ভর্তি হতেই জানতে পারেন ছোট্ট কোলের শিশুটি বিরল হাটের রোগে আক্রান্ত। চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন অস্ত্রপচার ছাড়া কোন উপায় নেই। একটি নয় একই সঙ্গে করতে হবে প্রায় তিনটি অপারেশন। আর তার জন্য প্রয়োজন হতে পারে পাঁচ থেকে সাত লক্ষ টাকা। দিন আনা দিন খাওয়া পেশায় কাঠমিস্ত্রি রিপন মন্ডল পড়েন চরম সমস্যায়। দুমাসের মেয়েকে সুস্থ করে তুলতে এর পরই শুরু হয় এ প্রান্ত থেকে সে প্রান্তে ছোটাছুটি। শহরের নানা হাসপাতাল ঘুরলেও, অপারেশনের খরচ শুনে রীতিমতো মাথায় হাত ওঠে তার। পরবর্তীতে, নিউ ব্যারাকপুর পুরসভার পৌর প্রধান প্রবীর সাহার দ্বারস্থ হন মন্ডল পরিবার। শিশু কন্যার এই বিরল সমস্যার কথা জেনেই তৎপর হন পুর প্রধান। যোগাযোগ করা হয় এলাকার বিধায়ক তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের সঙ্গে। পরবর্তীতে, সরকারের তরফ থেকে শিশুসাথী প্রকল্পের অর্থ দিয়েই এই বিরল অস্ত্রপচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। শিশু দিবসের ঠিক পরের দিনই এই অস্ত্রপ্রচারের কথা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে মন্ডল পরিবারের থেকে জানা যায়, আপাতত একটি অপারেশন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর তাই ছোট্ট মেয়ের শারীরিক কষ্টের কথা মাথায় রেখে বাবা-মা র আবেদন বারংবার ছোট্ট শিশুটির অস্ত্রোপচার না করে যদি একবারেই কোন ভাবে সম্ভব হয় সম্পূর্ন অস্ত্রপ্রচার করার তবে কিছুটা হলেও সুবিধা হয় তাদের। সে ক্ষেত্রে প্রয়োজন আরও অর্থের। তবে তাদের আবেদনে সারা দিয়ে নিউ ব্যারাকপুর পৌরসভার পৌর প্রধান এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যেভাবে পাশে দাঁড়িয়ে শিশুসাথী প্রকল্পের মাধ্যমে সন্তানের শারীরিক সুস্থতার জন্য তৎপর হয়েছেন তার জন্য মন্ডল পরিবারের তরফ থেকে দেওয়া হয় বিশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। এভাবেই দুঃস্থ মানুষদের পাশে থেকে সরকার সাহায্য করুক এমনটাই চাইছেন রিপন মন্ডল ও তার স্ত্রী দীপা মন্ডল।