কন্ঠ তৈরি হয়েছে কেন? চাই স্বাধীন, মুক্ত কণ্ঠ। কন্ঠের কাজই তো কথা বলা, মানুষের পক্ষে শাসকের অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া। যদি তাই না হয় তবে সেই কন্ঠ রেখে লাভ কি?অন্যায়ের বিরুদ্ধে যদি প্রতিবাদ না করতে পারি তবে টেনে ছিঁড়ে ফেলোয় আমার জিভ, আমায় কবন্ধ করে দাও!
শুধু কন্ঠ
তমাল সাহা
কথা কত ভেতর থেকে বেরিয়ে এলে
সশব্দ হয়ে ওঠে
কথা কত গভীর থেকে বেরিয়ে এলে
হয়ে ওঠে আওয়াজ
কথা কোন দেশ থেকে উৎসারিত হলে
হয়ে ওঠে সোচ্চার
কথা নাভিমূল ছুঁয়ে বেরিয়ে এলে
ঘটায় কি বজ্রপাত?
কথা কত মাত্রার শব্দ হলে জেনে নাও
রাষ্ট্র ভীত হয়ে পড়ে
তার তার দেহ পীড়িত হয় কাতর জ্বরে
জেনে নাও কথাকে কখন বলে গর্জনশীল কণ্ঠস্বর
শব্দে শব্দে সাজাও সুন্দর ভয়ঙ্কর।
জেলখানা থাকলেও তোমার দুচোখ ভরে আছে স্বপ্ন
দখল নিতে হবে আগ্নেয় শব্দের অস্ত্রাগার
রাষ্ট্র কতদূর যেতে পারে
আমরা জানি কতটুকু ক্ষমতা তার?
কন্ঠ ছাড়া আরো জোরে, নয় কোন আর্তরব
বাতাসে প্রলম্বিত করো দুঃসাহসিক চিৎকার
মানুষ আছে পাশে, অসংখ্য জনতা–
দেখো সম্মুখে মানুষের পারাবার!