শুভমস্তু!
তমাল সাহা

ইংরেজি নতুন বছর শুরু–
আমি লিখি, জয়গুরু!

এক) ৪ জানুয়ারি,২২, মঙ্গলবার। পূর্বস্থলীর ঘটনা

তাঁতঘর

নিমাই তাঁতী, তাঁত বুনে খায়।
নিমাই বসাক,লোকে বলে তাঁতশিল্পী
পেটে ভাত না থাকুক
শিল্পী শব্দটি মর্যাদা বাড়ায়।

পয়সা আর পেটের চিন্তা মাথায় ঢুকে গেলে
মাকু আর কতক্ষণ শব্দ তোলে?

শাড়ির কারুকাজে অন্ধকার নামে
ঋণ শব্দটি
দেনা-কর্জ কত রূপ নিয়ে এসে দাঁড়ায় সামনে।
এই শীতের রাতেও
নিমাই দরদর করে ঘামে!

কি করবে নিমাই?
হাতে থাকে তিনটি উপাদান– তারপর?
দড়ি গলদেশ ছাদপাখা–
ঝোলে তাঁতশিল্পী, দেখে তাঁতঘর!

দুই) ৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। বেলদার ঘটনা।

নয়ানজুলি

নয়ানজুলিতে কে ভেসে যায়…
রামায়ণের শিশু সীতা অথবা
মহাভারতের নবজাত দ্রৌপদী কিনা কে জানে?

নয়ানজুলির জলে ভেসে যায়…
আমরা আছি কোথায়?
জল আশ্রয় দেয় শিশুকন্যাকে—
মৃতশিশু ভেসে থাকে
রেলস্টেশনের অদূরে বেলদায়।

নয়ানজুলিতে কে ভেসে যায়…

তিন) ৬ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার। এগরার ঘটনা।

চিরনিদ্রা

দিন মজুরানি।নারীটি অর্ধনগ্ন,
আলুথালু চুল, এলোমেলো শাড়ি।
এক চিলতে রাস্তার পাশে তার ছাউনি বাড়ি।

পড়েছিল সেই ছোট্ট ছাউনির নিচে।
চেটেপুটে সব খেয়ে
তার সর্বনাশ করে,কারা চলে গেছে।

এখন নারীটি চিন্তামুক্ত।
কী ঘুম ঘুমায় মাটির বিছানায় শুয়ে!