অবতক খবর: পাখির চোখ লোকসভা ভোট। তাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতির চেয়ারে বসিয়ে বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা করা হতে পারে শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে। এমন জল্পনা তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে। যদিও এবিষয়ে কিছু বলতে চাননি শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক।
এদিকে অমিত শাহ এবং জেপি নড্ডা নয়া পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। তিনি বিষয়টিতে সম্মতিও দিয়েছেন। তারপরই বাংলা থেকে দু’জনকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার কথা ভাবা হয়েছে। যদিও সব জেনে চুপ করে আছেন তাঁরা। তবে রাজ্য বিজেপির অন্দরে এই নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত উত্তরবঙ্গে ভালো ফল করেনি বিজেপি। তবুও বিরোধী দলনেতা পদটি শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষকে দিতে চাইছেন কেন্দ্রীয় নেতারা। আর তাই সুকান্তর জায়গায় শুভেন্দু অধিকারীকে বিজেপির রাজ্য সভাপতি করতে চান জেপি নাড্ডা। যদিও সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সেই সিদ্ধান্তে সহমত পোষণ করেননি শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চাইছেন, রাজ্য সভাপতির বিরোধী দলনেতা পদ অনেক ভাল। কারণ এটি ক্যাবিনেট মন্ত্রীর সমতুল্য পদ।
সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করে দেওয়া হবে, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। তাঁরা দু’জনেই সাংসদ। আবার সুকান্ত মজুমদার উত্তরবঙ্গ থেকে সাংসদ হয়েছেন। দিলীপ ঘোষ মেদিনীপুরের সাংসদ। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই ছক কষা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এদের দুজনকে মন্ত্রী করা হলে মন্ত্রিত্ব হারাতে পারেন উত্তরবঙ্গের জন বারলা ও বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। পরিবর্তে আসবেন সুকান্ত–দিলীপ। যদিও আরএসএস চায় দিলীপ ঘোষকে আবার রাজ্য সভাপতি করা হোক, শুভেন্দুকে নয়।