অবতক খবর,২২ ফেব্রুয়ারী : ভুল তথ্য দিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন বলে এবার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় সাক্ষাৎ করেছিলেন বীরভূমের অধিবাসী জনজাতিদের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে।পাশে ছিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিং। সেটি লিখে এবং একটি ভিডিও দিয়ে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন।
শুভেন্দু অধিকারীর ফেসবুক পোস্ট এবং ছবি নিম্নে দেওয়া হল

বীরভূমের দেউচা পাচামির অধিবাসী মূলবাসী জনজাতিদের একটি প্রতিনিধি দল আজ আমার সাথে বিধানসভায় সাক্ষাৎ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমাকে একটি দাবিপত্র দিয়েছেন যা আমি গ্রহণ করেছি। আমি দেউচা পাচামির মূলবাসী জনজাতিদের অধিকারের লড়াইকে সম্পূর্ণ সমর্থন করছি এবং আগামী দিনে তারা তাদের অধিকারের লড়াইয়ে আমাকে যে ভাবে পাশে চাইবেন আমি সেইভাবেই তাদের পাশে থাকব বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

☝️ উপরিউক্ত এই পোস্ট নিয়ে কার্যত অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। কুনাল ঘোষ তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে দাবী করেছেন, শুভেন্দু অধিকারীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা বীরেন হাঁসদা এবং আনন্দ বেসরা তারা কেউই বীরভূমের দেউচা পাচামির মূল নিবাসী নন। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ব্যারাকপুর লোকসভার বীজপুর থানার অন্তর্গত কাঁচরাপাড়ার বাসিন্দা এবং আর একজন আমডাঙ্গার বাসিন্দা।

সেই যাবতীয় তথ্য কুণাল ঘোষ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তুলে ধরেছেন।

নিম্নে দেওয়া হলো তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট

তৃণমূলের তদন্তে উঠে আসা অভিযোগ:
দেউচা পাচামি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলন করে বীরভূমের মূলনিবাসী মানুষ বলে যাদের পরিচয় দিয়েছিলেন , তাঁরা আসলে উত্তর চব্বিশ পরগনার ব্যারাকপুরের বাসিন্দা।
1/ বীরেন হাঁসদা
মড়িচা গ্রাম পঞ্চায়েত
থানা – আমডাঙ্গা
ব্লক – আমডাঙ্গা
পেশা স্কুল শিক্ষক
2/ আনন্দ বেসরা
কাঁচরাপাড়া নিউ কলোনি
থানা – বিজপুর
উত্তর চব্বিশ পরগনা। অর্জুন সিং এর পাশে মহিলাটি বীরেন এর স্ত্রী। বীরেন হরবাটি পশরডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকরি করে যেটা আমডাঙাতে অবস্থিত।
বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেউচা-পাচামি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল সাংসদ সামিরুল ইসলাম তাঁর টিম নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখেন। তখন এই চক্রান্তটি সামনে আসে। সামিরুল দলকে বিস্তারিত জানিয়েছেন।