অবতক খবর,২৬ নভেম্বর: বীজপুর অঞ্চলের তৃণমূল দল এবং বিজেপি দল পরস্পরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তারাই বীজপুরের রাজনৈতিক প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এই বীজপুরেই মাঝে মধ্যে রাজনৈতিক রহস্য জাল সৃষ্টি করে চলেছে বিজপুর এর বিজেপি এবং তৃণমূল নেতারা।
বর্তমান সময়ে অনেক সক্রিয় হয়েছেন তৃণমূল ত্যাগী বিজেপি নেতা শুভ্রাংশু রায়। বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ফ্লেক্স মুখচ্ছবি আবার দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে শাসক দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেতা এবং দলের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী তার প্রাধান্য বিস্তার করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু অদ্ভুত একটি ধাঁধার সৃষ্টি হয়েছে জনমনে। সুবোধ অধিকারী এবং শুভ্রাংশু রায়ের সম্পর্ক নিয়ে।
সুবোধ অধিকারী সম্পর্কে পূর্ববর্তী কালে অনেক বিরূপ মন্তব্য করলেও শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গে সম্পর্ক এখন অনেক গভীর বলে মনে করছেন বিজেপি কর্মীরা। শুভ্রাংশু রায় সুবোধ অধিকারীর বিরুদ্ধে কোন শব্দ উচ্চারণ করছেনই না,বরঞ্চ তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকবে এবং দাদা-ভাইয়ের সম্পর্ক থাকবে এমন কথাও বিভিন্ন অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশেষ করে ছট্ পুজোর অনুষ্ঠানের মঞ্চে প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে সুবোধ অধিকারীও এই বিষয়ে কিছু বলছেন না। দুজনেই সাধারণ মানুষকে একটা রহস্যে রাখতে চাইছেন। এরফলে এই অঞ্চলের বিজেপি কর্মীরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। তারা অনেকেই সংশয় প্রকাশ করছেন যে, সুবোধ অধিকারীকে সামনে রেখে একটা সম্পর্কের বাতাবরণ তৈরি করে শুভ্রাংশু রায় নাকি তৃণমূলে আসার একটি প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে এমনই একটি সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
ব্যারাকপুর অঞ্চলে বিজেপি নেতা সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের মুখ হিসেবে একমাত্র সুবোধ অধিকারী রীতিমতো পাঞ্জা লড়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ বিজেপির বিরোধিতার লড়াইয়ের সম্মুখভাগে ব্যারাকপুর মহাকুমায় সুবোধ অধিকারী রয়েছেন। ফলে শুভ্রাংশু রায় সুবোধ অধিকারীর এই লড়াকু মনোভাব দেখে পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতির কি হবে এটির একটি আগাম ইঙ্গিত করে সুবোধ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে চাইছেন কিনা
এ বিষয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে একটি সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তারা বুঝতে পারছেন না তাহলে তারা এখন কি করবেন। যারা তৃণমূল দলে এতদিন ছিলেন, তৃণমূল দলের সঙ্গে থেকে বিজেপির কাজকর্ম করেছেন আবার কি তারা তৃণমূলে চলে আসবেন? তাহলে এই পুরোনো যে বিজেপি কর্মী তারা কি তাদের গুরুত্ব হারাচ্ছেন এবং জনগণের সামনে কি তারা তাদের মুখ দেখাতে পারবেন? এমন প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তারা।