অবতক খবর,২১ মার্চ,কলকাতা : প্রদীপনের অনন্য বসন্তে শোভাবাজার রাজবাড়িতে নাচে, গানে, কবিতায়, গল্প- কথা, আর জলযোগ মজলিসে বসন্তোৎসব হল এক অতি বিশেষ ব্যতিক্রমী উৎসব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ।একদিকে রং বেরঙের আবির খেলা অন্যদিকে বসন্তের নাচ গান কবিতা বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে মেয়েরা মেতে উঠল বসন্তের মিলনোৎসবে। শুরুতে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল লাগল যে দোল নাচে গানে মাঠ প্রদক্ষীণ ঢোল করতাল নিয়ে আবির খেলা।

মঙ্গলদ্বীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন অভিনেত্রী স্বর্ণালী কাঞ্জিলাল, সমাজসেবী অলক নন্দা রায় ব্যানার্জি, অধ্যাপক নবীনা নন্দ সেন। আগুনের পরশমনি ছোয়াও প্রানে বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে মেয়েদের সুরেলা কন্ঠে গান সাথে একে অপরকে আবির মাখানো।বসন্তের ভিন্ন একক ও সন্মিলিত গান সাথে ছেলে মেয়েদের প্রানবন্ত নাচ।বাচ্চা দের কল্পনা মগ্নতা মানসিক প্রতিভা বিকাশে তাদের উজ্জীবিত করল বসন্তের অনাবিল মিলনোৎসবে।

অর্টিজম সহ বিশেষভাবে সক্ষম ছেলে- মেয়েদের নিয়ে; সেইসব তরুণ-যুবারা ও অন্যান্য শিল্পী কলাকুশলিরাও শামিল হল তাদের নাচ-গানের ডালি নিয়ে, অকারণ নির্মল হাসিতে, উচ্ছল খুশিতে শোভাবাজার রাজবাড়ি মুক্ত মঞ্চে ভরিয়ে তুলল এক অনাবিল আনন্দ-বসন্ত সন্ধ্যা। প্রদীপনের এগিয়ে চলার কান্ডারি কাকলি পাত্র ও দীপাঞ্জনা রায় চৌধুরীর অক্লান্ত পরিশ্রম সার্থক হল দ্বিতীয় বর্ষের রঙিন বসন্তোৎসব। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন বাচিক শিল্পী সোমা আইচ ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।

অবিশ্বাস্য মনে হবে এ কথা ভেবে যে, যাদের আশৈশব মন-মস্তিষ্ক পূর্ণতা পায়নি, তারা কি অক্লেশে প্রায় পেশাদারের দক্ষতায় মাতিয়ে তুলছে ফাগুনের আঙিনা তাদের শিল্পকলায়। বহু বহুদিন দর্শক-শ্রোতাদের মনে ফিরে ফিরে আসবে এই সুন্দর স্বর্ণালী সন্ধ্যার স্মৃতি …।