হক জাফর ইমাম,অবতক খবর ::মালদা: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের শ্রম দিবসের প্রাপ্য চাইতে গিয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতে হেনস্থার শিকার হয়েছেন বিধবা মহিলারা।প্রধানের অনজরদারীতে পঞ্চায়েত কর্মী সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠল মালদহের চাঁচল১ নং ব্লকের মহানন্দাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে।
শুক্রবার পঞ্চায়েত এলাকার ধঞ্জনা গ্রামের চার বিধবা মহিলা সহ ছয় উপভোক্তা চাঁচল ১ নং ব্লক দপ্তরে অভিযোগ করেন।অভিযোগ পেয়ে বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন তাদের।
সম্প্রীতি সরকারি অনুযায়ী উপভোক্তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের ১,২০০০০ সম্পূর্ন হিসেব পেয়েছেন। পঞ্চায়েত সূত্রে জানা যায়,পরে ঘরের মাটি ভরাটের জন্য এন.আর.ই.জি.এস প্রকল্পে উপভোক্তার জবকার্ডে শ্রম দিবসেের বিল পাওয়া যায়।
৯১ দিবসের ১৮০ টাকা মজুরির আনুমানিক ১৬ হাজার টাকা উপভোক্তা পেয়ে যায়। তবে ঘর শয়নকক্ষ হয়ে উঠলেও তা আর মেলেনা। পঞ্চায়েত অফিসে টাকার কথা জানতে গেলেই কিছু কর্মী কাটমানি লেনদেনের পরামর্শ দেন বলে অভিযোগ।
অভিযোগ কারীর মধ্যে বিধবা আকলিমা বেওয়া জানান, আমি এসব কথা পঞ্চায়েতে বলতে গেলেই হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। কাটমানি চাওয়া হচ্ছে আমার তরফ থেকে।কাটমানির কথা ফাস করলে দারগা পুলিশি ভয় দেখিয়েছেন বিষ্টপুর বুথের সদস্যার স্বামী এনামুল হক বলে অভিযোগ তাদের। এবং পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বিধবা মহিলাকে বলে অভিযোগ।
ওই মহিলা তো অন্য বুথের,আমি চিনিনা! অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন সদস্যার স্বামী। পুলিশের নাম করে কাউকে ভয় দেখিয়ে প্ররোচনা করা দন্ডনীয় অপরাধ। প্রমান হলে অভিযুক্তের আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চাঁচল পুলিশ সূত্রের খবর।
ছয়জন ভুক্তভুগী উপভোক্তার মধ্যে ওয়ালেদা বেওয়া, সাবেরা বেওয়া বেশ কয়েকজনের কাটমানি নেওয়া সত্যেও প্রাপ্য মিলছে না অভিযোগ। প্রকল্পের ১,২০০০০ স্কীমের সম্পূর্ণ হিসেব নিকেশ হয়েছে। ওই হিসেবেও কি কাটমানি যুক্ত,উঠছে প্রশ্ন?