অবতক খবর,অনুপ কুমার মন্ডল,নদীয়া: দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর বিদ্যালয়ে পঠনপাঠন শুরু হয়েছিল গত ১৬ই নভেম্বর। কিন্তু শ্রেণীকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি আশানুরূপ নয়। কোনদিনই ৫০ শতাংশের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি।
অনুপস্থিতির কারণ খুঁজতে বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ জানতে পারেন পারিবারিক অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা কতিপয় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষালাভের ক্ষেত্রে অন্তরায় হলেও বেশির ভাগ ছাত্র মোবাইল ফোনে ভিডিও গেম খেলাতেই বেশি মনোযোগী।

এমনই কিছু ছাত্রকে হাতেনাতে ধরলেন নদীয়া জেলার শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবনের (উ.মা.) প্রধান শিক্ষক সন্দীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে এই অভিযানে যুক্ত ছিলেন শিক্ষক তাপস ব্যানার্জী, প্রবীর দেব, উত্তম দাস, সালখান সরেন, মনিশংকর অধিকারী, অভিজিৎ কর, প্রসেনজিৎ দে। প্রধান শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়িতে গিয়ে অভিভাবক- অভিভাবকদের সাথে প্রত্যক্ষভাবে তাদের সন্তানদের ভবিষ্যৎ জীবনে প্রতিকূলতা জয় করে এগিয়ে যাবার প্রসঙ্গে আলোচনা করেন।

অভিভাবকগণ শিক্ষকদের এই ধরণের কর্মসূচিতে মুগ্ধ। তারা সন্তানদের বিদ্যালয়মুখী করার জন্য অঙ্গীকার করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও আগামী দিনে পঞ্চম-অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রদের বিদ্যালয়ে যাবার সুযোগ আসা মাত্রই তারা যেন মানসিক প্রস্তুতি নিয়ে থাকে সে ব্যাপারেও অভিভাবকদের উৎসাহিত করেন। করোনা অতিমারিতে বিদ্যালয়ে এসে পঠনপাঠন সম্ভব না হলেও নিয়মিত অনলাইন ক্লাস হয়েছে।

পঁচাত্তর বছর অতিক্রান্ত শিমুরালী উপেন্দ্র বিদ্যাভবনে নতুন কিছু প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে গেছে । একসময় যে বিদ্যালয় শিমুরালী অঞ্চলে আদর্শ প্রতিস্থাপনীয় ছিল তার পুনরুদ্ধারে সকলের সমবেত প্রচেষ্টা দেখে অভিভাবকগণ অভিভূত। নির্মল পল্লী, দক্ষিণ চাঁদুরিয়া, ঘোষপাড়া, বলিদাপাড়া, বাবলাতলা, বালাপাড়া, সান্যালচর বিশ্বাসপাড়া বিভিন্ন স্থানে উপেন্দ্র বিদ্যাভবনের শিক্ষকগণ ছাত্র সংযোগে গিয়েছিলেন।