নিজস্ব প্রতিবেদক : অবতক খবর : যেমনটা জানা গেছে বজবজ স্টেশন থেকে চারটি রুটে মোট ৩১১ টি অটো প্রতিনিয়ত চলাচল করে। আজ সকালে যে সকল যাত্রীরা এই অটো ব্যবহার করেন তারা এসে দেখেন অটো সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউই কোন প্রকার ভাড়া খাটতে চাইছেন না। এর পরেই দেখা যায় অটোচালক এবং অটোর মালিক পক্ষের লোকেরা স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ভিড় জমাতে থাকে, এদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেরাই বচসায় জড়িয়ে পরে।
অটোচালকদের অভিযোগ বর্তমান তৃণমূল পরিচালিত ইউনিয়নের সম্পাদক মহিবুল ইসলাম নতুন পাঁচটি অটো রুট পারমিট দিয়ে আজ থেকেই গাড়ি চালাবার জন্য অনুমতি দিয়েছেন। আজ সকালে স্ট্যান্ডে নতুন ওই পাঁচটি গাড়ি দেখা মাত্রই পুরাতন চালক এবং মালিক পক্ষের লোকেরা ওই রুটের সমস্ত অটো চালানো বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি সম্পাদক গাড়ি পিছু ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা করে নিয়ে নতুন এই পাঁচটি অটো চালাবার অনুমতি দিয়েছেন, যেখানে উনি অবগত করোনাকালীন পরিস্থিতিতে ৪০০ টাকা ঘরে নিয়ে যেতে প্রতিটি চালককে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বজবজ বিধানসভার অবজারভার জাহাঙ্গীর খান বিধানসভা ভোটের আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন নতুন কোন অটো এই রুটে ঢুকবে না। তা সত্ত্বেও কেন কার নির্দেশ মতো এই অটো গুলি ঢুকলো তা অটো ইউনিয়ন সম্পাদক মহিবুল ইসলামের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান “পঞ্চায়েত এলাকার চালাবার অনুমতি রয়েছে এমন কিছু অটো যাদের পারমিট মল্লিকপুর, বাখরাহাট, আমতলা থাকলেও বজবজ স্টেশন থেকে চালানো হচ্ছে অথচ এই নতুন পাঁচটি গাড়ি কে RTO চালাবার অনুমুতি দিলেও এদেরকে এইখান থেকে গাড়ি চালাতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। যেহেতু আমি ওই পঞ্চায়েত এলাকার গাড়ি গুলিকে এখান থেকে চালাতে দেবো না বলেছিলাম তাই কিছু বিজেপি মনো ভাবাপন্ন চালক এবং মালিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে এই ঝামেলা করছেন তৃণমূল কে বদনাম করবার জন্য।” পাশাপাশি ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করেন। সকাল থেকে এখনো পর্যন্ত এই রুটের সমস্ত অটো চলাচল বন্ধ রয়েছে।