অবতক খবর :: উত্তর দিনাজপুর ::      কোর্টকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। কারণ এটা সত্যের জয় হলো। যে সত্যের জন্য আমরা লড়াই করছি। ইসলামপুর কোর্ট থেকে ছাড়া পেয়ে বৃহস্পতিবার এমনই জানালেন বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, আমাকে সম্পুর্ন চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয়েছিল পুলিশ চেয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পালন করতে। তবে এসব করে আমাদের লড়াই থামানো যাবেনা। যদি বেল না হয়ে জেল হতো তা হলেও লড়াই চলতো লড়াইয়ের মতো করেই। গোটা রাজ্য জুড়ে যেভাবে বিজেপি ও বিরোধীদের খুন করা হচ্ছে আমরা তারই প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু খুন হয়ে গেল তদন্ত নেই ।চোপড়ার মৃত কিশোরী মাম্পি সিংহের মৃত্যু প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এমনটাই জানালেন রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।

বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার দুপুরে পুলিশ ইসলামপুর আদালতে পেশ করে। বুধবার রায়গঞ্জ শহরে দলীয় এক কর্মসূচিতে যোগ দিতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এদিন ভোররাতে তাকে রায়গঞ্জ থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এরপর দলের পক্ষ থেকে তার নিখোঁজ হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়। তবে পুলিশ তাকে রায়গঞ্জ থেকে কিভাবে এনেছে এবং কি মামলায় তাকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়েছে, সেই ব্যাপারে পুলিশ মুখে কুলুপ এঁটেছে। বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি সুরজিৎ সেন জানিয়েছেন এই অন্যায় তারা কখনো মেনে নেবেন না। এমনকি তিনি কোর্টে আসলে পুলিশ তাকে নানাভাবে হয়রানি করে বলেও অভিযোগ তাঁর।

উল্লেখ্য,বুধবার রায়গঞ্জে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখছিলেন বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মুহূর্তে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার আই সি এবং ডি এস পির সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বাদানুবাদ চরমে ওঠে।
বিজেপির তরফে দাবি, লকডাউন মেনেই রাজনৈতিক কর্মসূচি করা হচ্ছে৷ কিন্তু নেতা কর্মীদের কোনও কথাই শুনতে চায়নি পুলিশ। তাঁকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই জেলাজুড়ে বিজেপি  কর্মীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, খুব অনৈতিকভাবে তাঁকে পুলিশের ভ্যানে তোলা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে।