সন্দেশখালি সিরিজ– দুই
তমাল সাহা
১) লাব ডুব
চোখের জল শেষ হয়ে গেছে বুঝি
নন্দীগ্রামে কেঁদেছিলে খুব!
সন্দেশখালিতে পার্টি অফিসে নারীদের কেঁপে ওঠে বুক।
তুমি বুঝি মরে গেছ, হে বুদ্ধিজীবী!
হৃদয়ে স্পন্দন নেই লাব ডুব!
২) পার্টি ও পিঠে
কেউ কি আমাকে বলে দেবে
পার্টি শব্দটির সঙ্গে
পেট ও পিঠের সম্পর্ক গড়ে ওঠে কিভাবে?
প্রবাদটি কেন এমন হয়?
পেটে খেলে পিঠে সয়,
না পিঠে খেলে পেটে সয়!
৩) রে বঙ্গভূমি
শেখার যে কত কিছু ছিল বাকি
রে বঙ্গভূমি!
এসব কথা কাকে খুলে বলি?
নারীদের শরীর
মুখ বুক নাভিমূল নিতম্ব জঙ্ঘা
সব মাপা যায় শেখালো সন্দেশখালি!
৪) দেখে শেখো
এবার তো বুঝতে পারলে?
এবার বলো কে কে কী কী সন্দেশ খেলো?
নারী শাসক হলে সেও কী নারীকে খায়!
এটা কি সমকামিতা? এটাও বৈধ বুঝি
জলজ ভূমি সন্দেশখালি পাড়ায়!
নতুন সব কথা শুনি
রাত বারোটায় পার্টি অফিসে
নারীরা নাকি পিঠে বানাতে যায়!
৫) ছাইপাঁশ
কি সব ছাইপাঁশ লেখো তুমি
সোজা সোজা পদ্য।
বুদ্ধির কোনো ছোঁয়া নেই
বোকার হদ্দ!
নেতারা পান করবে মদ্য
মেয়ে মানুষ চাই তাদের কাল-পরশু অদ্য।
সন্দেশখালি নামের মানে বুঝে নাও সদ্য
নেতারা জানে
মেয়েদের শরীরে কোথায় সন্দেশ লুকিয়ে থাকে
সবই তাদের লাগি বরাদ্দ!