অবতক খবর,২৭ মার্চ,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমান:মন্তেশ্বর ব্লকের মামুদপুর এক নম্বর অঞ্চলের বরুনা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির ভোটে প্রার্থী দিতে পারল না কোন বিরোধী দল।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বরুণা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালন সমিতির নির্বাচনে ৯টা আসনে জয়ী হল তৃণমূল কংগ্রেস। বরুনা, রাইগ্রাম, তৈয়বপুর, বন্ধুপুর, গড়সোনাডাঙ্গা গ্রামের প্রায় ৯৬৬জন চাষীরা এই সমিতির সদস্য। বছর দুই আগে এই সমবায় সমিতির পরিচালন সমিতির মেয়াদ শেষ হয়। আজ বৃহস্পতিবারএই সমবায় সমিতির নির্বাচনের ৯টি আসনে মনোনয়নপত্র তোলার শেষ দিন ছিল।
২৬ শে মার্চ ও ২৭শে মার্চ এই দুদিন সমিতির মনোনয়নপত্র তোলার দিন ছিল। তাই বৃহস্পতিবার ২৭শে মার্চ দুপুর ১২টা পর্যন্ত তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা ছাড়া অন্য কেউ মনোনয়নপত্র তুলতে আসেননি, বা তুলেনি।তার ফলে ভোটের আর প্রয়োজন হবে না বলে জানান সমবায় সমিতির ম্যানেজার আজগর আলী মন্ডল। এলাকার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফরিয়াদ মল্লিক ও এই সমবায় সমিতির বর্তমান বোর্ডের প্রার্থী , আসফর আলী শাহ , আব্দুল কাদের মন্ডলরা জানান বেশ কয়েকবছর আগে এই সমিতির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।
মন্তেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ এর তত্ত্বাবধানে এই সমিতি উন্নয়নমূলক খুব ভালো অবস্থায় ফিরে এসেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আহমেদ হোসেন শেখ চাষীদের সুবিধার্থে সমিতিতে রেশনের ন্যায্য মূল্যের রেশনের দোকান সহ অন্যান্য সুবিধা গ্রহণ করে । তাই সমিতির এই উন্নয়নের জন্য বিরোধীরা কোন প্রার্থী খুঁজে পায় নাই, বা বিরোধী দলের হয়ে প্রার্থী হতে কেউ রাজি হয় নাই বলেই ,বিরোধীরা প্রার্থী দিতে পারে নাই বলেই জানান তারা। ২৬শে, মার্চ এবং ২৭শে মার্চ এলাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফরিয়াদ মল্লিক ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ব্লক সভাপতি ইসারুল মন্ডল সহ এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের
নেতৃত্বে ৯জন প্রার্থী মন্তেশ্বর ব্লক সমবায় সমিতির সার্কেল ইন্সপেক্টর দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের হাত দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা করেন সমবায় সমিতিতে। উপস্থিত ছিলেন এলাকা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ফরিয়াদ মল্লিক, মন্তেশ্বর ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ইসারুল মন্ডল, সহ এলাকার অনেক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে আজ দুপুর ১২টায় মনোনয়নপত্র দাখিলের নির্ধারিত সময় উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা আনন্দ উচ্ছাসে মেতে উঠেন।