অবতক খবর,২৫ জানুয়ারি: কাঁচরাপাড়া লিচুবাগান মোড়ে একটি অশত্থ গাছের নিচে বহু পুরনো একটি শিব মন্দির রয়েছে। মন্দিরটি বেশ জাগ্রত। ফলে ওই অঞ্চল এবং আশেপাশের অঞ্চলের মানুষ সেখানে পুজো দিতে আসেন। সেখানে একটি বেদীর উপর সিমেন্ট-বালি দিয়ে তৈরি শিবলিঙ্গ বসানো ছিল এবং স্থানটি ছিল খোলা। ফলে পুজোর প্রণামী এবং অন্যান্য জিনিস প্রায় দিনই চুরি হত। বিষয়টি বহুদিন আগেই নজরে আসে কাঁচরাপাড়ার সমাজসেবী মলয় ঘোষের। যেহেতু তিনি স্থানীয় বাসিন্দা সেহেতু তিনিই এর প্রতিকারে এগিয়ে আসেন এবং এক মহৎ কাজ করেন।
গতকাল অর্থাৎ ২৪শে জানুয়ারি মলয় ঘোষের উদ্যোগে এবং লিচুবাগান সপরিবারবর্গ একত্রিত হয়ে এক মহৎ দেবপূজার সূচনা করেন। ‘চলন্ত শিব ঐ্যলঙ্গস্বামী’র আবির্ভাব ও তিরোধান দিবস উপলক্ষে সেখানে নর্মদা লিঙ্গ স্থাপন করা হয়। এর পাশাপাশি বিশ্ববাসী ও জীবজন্তু-কীটপতঙ্গের উদ্দেশ্যে বৃহৎ মৃত্যুঞ্জয় যজ্ঞ করা হয়। ২১ জন স্বামীজি প্রায় ৪ ঘন্টা পুজো ও মহাযজ্ঞ করেন। এরপর স্থানীয় মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ করা হয়।
অন্যদিকে মলয় ঘোষের আমন্ত্রণে এই পুজোয় উপস্থিত হন বীজপুর তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সুবোধ অধিকারী, তৃণমূল নেত্রী সোনালী সিংহ রায় সহ অন্যান্য সুধীজন।
এ প্রসঙ্গে মলয় ঘোষ বলেন,”মন্দিরটি বহু পুরনো এবং জাগ্ৰত। কিন্তু মন্দিরটি ছিল খোলা। ফলে পুজোর প্রণামী চুরি,বস্ত্র চুরির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। আর মন্দিরে যে শিবলিঙ্গটি ছিল সেটিও সিমেন্ট-বালির তৈরি। প্রতিবছরই এইদিনে মন্দিরে আনুষ্ঠানিকভাবে পুজো করা হয়। কিন্তু এবছর পাথরের শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হল এবং সকলের মঙ্গল কামনায় মহাযজ্ঞ করা হয়। আমি মানুষের সেবায় নিয়োজিত থাকি,তাই সকলের মঙ্গলের জন্য এই পুজোর আয়োজন করেছি। পুজো শেষে স্থানীয় মানুষ ও পথচারীদের মধ্যে ভোগ বিতরণ করা হয়েছে। ঈশ্বর সকলের মঙ্গল করুন এবং সকলে সুস্থ থাকুন,এই কামনাই করি।”