অবতক খবর,২৭ নভেম্বর,বকখালি: সমুদ্র সৈকতে একের পর এক বালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে চোখধাঁধানো ভাস্কর্য। বালু শিল্পী বলতে আমাদের চোখের সামনে একটি নাম ভেসে আসে সেই নামটি হল উড়িষ্যার বালু শিল্পী সুদর্শন পট্টনায়েক। রাজ্য ভিন রাজ্য ও বাংলাদেশের বালু শিল্পীদের নিয়ে বকখালি সমুদ্র সৈকতে শুরু হলো শিল্পকলার প্রদর্শনী।রাজ্যে প্রথমবার বালু শিল্পীদের নিয়ে আয়োজিত হল বিশেষ কর্মশালা।
বকখালি সমুদ্র সৈকতে বালুর শিল্পীদের শিল্পের প্রদর্শনী তে যোগদান করলেন রাজ্য ভিন রাজ্য ও বাংলাদেশের বাউল শিল্পীরা। বালু শিল্পীদের আলাদাভাবে পরিচিতি দিতেই বিশেষ উদ্যোগ নেয় আন্তর্জাতিক শিল্পীগোষ্ঠী পঞ্চরথি। এদিন সকালে বকখালি সমুদ্র সৈকতে ৩১ জন বালুর শিল্পীদের নিয়ে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। বকখালি সমুদ্র সৈকতের নানারকম শিল্পকলা ও নিখুঁত কারুকার্যের মধ্যে ফুটিয়ে তুলছে চোখ ধাঁধানো সব বালুর ভাস্কর্য। বালু শিল্পকলা উড়িষ্যা ও ভারতবর্ষের দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে খ্যাতি পেলেও পশ্চিমবঙ্গের তেমনভাবে খ্যাতি লাভ করতে পারেনি।
পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বালুর শিল্পকলায় সম্পর্কে পরিচিতি লাভ করাতে এই কর্মশালা তেমনটাই মনে করছে আয়োজক কারী সংস্থা। বকখালি সমুদ্র সৈকতের এই চোখ ধাধানো বালু ভাস্কার্য দেখতে ভিড় জমিয়েছে পর্যটকেরা ও। পঞ্চরথি ইন্টারন্যাশনাল আর্টিস্ট গ্রুপের সম্পাদক তনময় হালদার বলেন, বিভিন্ন শিল্পীদের ৫ ঘণ্টার পরিশ্রমে কাঁকড়া থেকে শুরু করে অক্টোপাস, আবার কখনো রাধাকৃষ্ণের যুগল বন্দী সবটাই এই বালুর ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছিল পঞ্চরথি গ্রুপের সদস্যরা। সকাল থেকেই পর্যটক থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা এই ইন্টারন্যাশনাল ওয়াকসপ দেখতে ভিড় জমান।একেবারেই এই ওয়াকসপ বকখালিতে প্রথমবার হওয়ায় সকলেরই মন কেড়েছে। সবমিলিয়ে বলা চলে সৈকত জুড়ে এই বালুর ভাস্কর্য পর্যটন কেন্দ্রের মাথায় নতুন পালক এনে দিয়েছে।