অবতক খবর, রেজাউল করিম, মালদা:-  কালিয়াচক জুড়ে সরকারি প্রকল্পের ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে মানুষের মধ্যে। বিশেষ করে কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী, স্বাস্থ্যসাথীর দিকে মানুষের ঝোঁক বেশি। ঝাঁকে ঝাঁকে মানুষ নাম নথিভুক্ত করাচ্ছেন। এবার কংগ্রেসের গড়েও রাজ্য সরকারের,  সরকারি প্রকল্পে ব্যাপক সাড়া দেখা যাচ্ছে।

সুজাপুরের মতো কংগ্রেসের গড়ে মানুষ এখন তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেছেন। এলাকায় এলাকায় সকালে বঙ্গধনি ও সন্ধেয় দুয়ারে সরকারের প্রচারে গেলেই দলে দলে এসে এই সব প্রকল্পের জন্য নাম নথিভুক্ত করছেন বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের মধ্যে স্বত:‌স্ফূর্ততায় খুশি কালিয়াচক-‌১ ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট ব্লকের সুজাপুর বিধানসভা কেন্দ্রটি বরাবরই কংগ্রেসের গড়। যদিও বার বার তৃণমূলকে নিরাশ করেছেন এখানকার বাসিন্দারা। কালিয়াচকে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তৃণমূল কংগ্রেসকে বিমুখ করার কথা জানিয়ে গেছেন। এবার যেভাবে তৃণমূলের দিকে ঝুঁকছে মানুষ, তাতে দু’‌হাত তুলে তৃণমূলকে আশীর্বাদ করবেন বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ইতিমধ্যে।

এ  ক’‌দিন ধরে কালিয়াচক-‌১ ব্লকের জালুয়াবাধাল, সুজাপুর, বামনগ্রাম মসিমপুর , জালালপুর, নওয়াদা যদুপুর প্রভৃতি গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে চষে বেড়াচ্ছেন সংশ্লিষ্ট ব্লক যুব তৃণমূল কংগ্রেস ও ব্লকের নেতারা । বুধবার গয়েশবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বঙ্গধ্বনী কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সহ সভাপতি কুরবান সেখ, তৃণমূল ব্লক যুব সভাপতি সারিউল শেখ সহ অন্যান্য নেতারা। সারিউল সেখ বলেন, ‘‌প্রার্থীর কথা আমরা ভাবছি না। জেলার নির্দেশ মতো আমরা ঘরে ঘরে পৌঁছনোর চেষ্টা করছি। তাতে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। যিনিই প্রার্থী হোক না কেন, আমাদের জেতাতেই হবে তাঁকে। তৃণমূল কংগ্রেসের কালিয়াচক-‌১ ব্লকের সভাপতি রাহুল বিশ্বাস বলেন, সংশ্লিষ্ট ব্লকের ১২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা পৌঁছেছি। রাজ্য সরকারের ৬৯ প্রকল্পের সুবিধে পেতে এবং সচেতন করতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে আমরা যাচ্ছি। যে ভাবে মানুষ এগিয়ে আসছে, তাতে এবার কালিয়াচকবাসীর কাছে আর বিমুখ হওয়ার নেই। এবার আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই এ বিধানসভা কেন্দ্র দখল করবো।’‌