অবতক খবর,৬ জানুয়ারিঃ তিবনন্তপুরমে শুরু হয়েছে সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলন। এই সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন শিল্পী মল্লিকা সারাভাই সমাজ কর্মী তিস্তা শীতলাবাদ এবং চে গুয়েভারা কন্যা মহিলা নেত্রী এলাইদা গুয়েভারা।এছাড়া রয়েছেন আরও বহু সর্বভারতীয় মহিলা নেত্রী।

এদিন সম্মেলনের উদ্বোধন করে শিল্পী মল্লিকা সারাভাই বিজেপির অপশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চারে বক্তব্য রাখেন। কুড়ি বছর ধরে গুজরাট পিছিয়ে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন।তিনি বলেন, মনুস্মৃতি এ দেশের পক্ষে বিপজ্জনক। ধর্ম বিষয়টি নিয়ে এখন শোরগোল চলছে। এখনও ভারতবর্ষের যে পরিস্থিতি তাতে মহিলারা ধর্ম মানেন। ১০০ বছর আগে লাভ জেহাদ শুরু হলে আজ আমার জন্মই হতো না। অনেক আগে থেকেই আমার পরিবার আত্মীয়-স্বজনেরা বিভিন্ন ধর্মীয়পরিবারের সঙ্গে বৈবাহিক সূত্রে আবদ্ধ।

এই ধর্মীয় সংহতি তখন যদি না থাকতো তাহলে আজ পৃথিবীতে আমার জন্মগ্রহণ ছিল না। তিনি আরো বলেন, মন্দির নয় মসজিদ নয় এখানে এত মহিলার সমাবেশ দেখছি তাতে আমি আবেগ রুদ্ধ হয়ে পড়ছি। সমস্ত শ্রেণীর মহিলারা এখানে রয়েছেন। এর চেয়ে ভালো মন্দির বা মসজিদ আর কি হতে পারে?

সম্মেলনে কিউবা থেকে আগত চে গুয়েভারা কন্যা এলাইদা গুয়েভারা এই সম্মেলনের সঙ্গে কিউবার সংগতি জ্ঞাপন করেন। কিউবার বর্তমান পরিস্থিতি সেখানে কিভাবে এসেছে মহিলাদের ক্ষমতায়ন সে কথা তিনি বিস্তৃত বলেন

 

এই সম্মেলন থেকে তিস্তা শীতলাবাদকে ‘প্রতিরোধের প্রতীক’ হিসেবে সম্মানিত করা হয়। উল্লেখ্য গুজরাট দাঙ্গায় গণধর্ষিতা বিলকিসের হয়ে তিনি মামলা লড়ছিলেন এবং স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে 14 জন গণধর্ষক মুক্তি পেলে তিনি তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং তিনি দীর্ঘকাল জেল হাজত ভোগ করেন। তিনি এদিন বক্তব্যে বলেন, এ লড়াইয়ে আমার একার লড়াই ছিল না। সংহতিতে এই আন্দোলন আমি করেছিলাম। এদিন তিনি জেলজীবনের কথা বলেন। তিনি বলেন, জেলের কক্ষে আমি আপাতভাবে একলা থাকলেও একা ছিলাম না। শত শত চিঠি আমার কাছে এসে পৌঁছতো। আমি সেই সব চিঠি পড়ে জেল জীবন কাটিয়েছি। প্রায় দুই হাজারেরও বেশি চিঠি বন্দী থাকা অবস্থায় আমার কাছে এসেছে।

এটি 13 তম সর্বভারতীয় মহিলা সম্মেলন। ভারতবর্ষের 12 টি প্রদেশ থেকে মশাল আনা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যভাবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা নেত্রী মারিয়াম ধাওয়ালে, সুভাষিনী আলি বৃন্দা কারাত মালিনী ভট্টাচার্য প্রমুখ।