অবতাক খবর, সংবাদদাতা, বারাসাত :: ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং এর আরো এক সঙ্গীকে গ্রেফতার করল বারাসাত পুলিশ। তার কাছ থেকে বেআইনি অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে পুলিশ তাকে 5 দিনের রিমান্ডে এনে এই বেআইনি অস্ত্র এর উৎস খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।
গ্রেফতার এই ব্যক্তির নাম বাবলু সিং বাড়ি নৈহাটি গরীফাতে। তাকে বারাসাত থানা অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে । তার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা 323, 447, 385, 387, 506, 34 এবং অস্ত্র আইন 25 ও 27 ধারায় মামলা রুজু করেছে বারাসাত পুলিশ।
ঘটনার বিস্তারিত জানা যায়, বারাসাত থানা এলাকার চোলামন্ডলম ফিনান্স অফিসে উপস্থিত হয় বাবলু সিং। তোলাবাজি ও সুদের ব্যবসা ছাড়া তার বেশ কিছু বেআইনি ব্যবসা ও বেআইনি অস্ত্র ব্যবসার সাথে সেনাকী যুক্ত। পুলিশ সূত্রে খবর বাবলু সিং গাড়ি ফাইন্যান্স নিলেও সে মাসিক কিস্তি দেওয়া বন্ধ করে দেয় । চোলামন্ডলম ফাইন্যান্সে তার গাড়ি রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে চলে যায়।
খবর পেয়ে অস্ত্র সমেত বারাসাত ফাইন্যান্স অফিস হাজির হন বাবলু সিং। গাড়ি তৎক্ষণাৎ না ছেড়ে দিলে চোলামন্ডলম অফিসে ভাঙচুর ও তোলপাড় করে দেবে বলে হুমকি দেয় বাবলু। বাবলু জানায় যে সে অর্জুন সিংহের লোক। অফিসে ভেঙে ফেলতে ও গুলি করতে বেশি ক্ষন তার লাগবেনা। বাবলু তার গেট থাকা রিভলবার বের করে ফাইন্যান্স অফিসের ম্যানেজার কে প্রকাশ্যে হুমকি দেয় বলে অভিযোগ।
ভয় পেয়ে যান তারা। ফাইন্যান্স অফিসে তাকে বসিয়ে রেখে গাড়ি আনার বাহানায় বারাসাত পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ফাইন্যান্স অফিস থেকে। বারাসাত পুলিশ ফাইন্যান্স অফিস থেকে বাবলু সিং কে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে নেয়। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বেআইনি অস্ত্র। বাবলু সিং দাবি করে যে তার কাছে অস্ত্র লাইসেন্স আছে কিন্তু যে অস্ত্র তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় তার কোনো লাইসেন্স দেখাতে পারিনি বাবলু।
তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে যে বাবলু কাছে নাগাল্যান্ডের ঠিকানায় একটি অস্ত্র লাইসেন্স করা আছে। পুলিশ সেই লাইসেন্স তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে। নাগাল্যান্ডের ভুয়ো ঠিকানায় এই অস্ত্র লাইসেন্স বার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে কার সুপারিশে এই লাইসেন্স বাবলু পেলেন সেটাও খোঁজখবর নিয়ে দেখছে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে যে বাবলু সিং 4 সঙ্গীকে নিয়ে অস্ত্র মামলায় পুলিশি রিমান্ডে রয়েছে। বাবলুর পরিবার অর্জুনের কাছে বেল করতে সাহায্য চায়। অর্জুন একে বারে পরিস্কার তাদের ঝেড়ে ফেলে দেন। পরে বাবলু সিং এর পরিবার তৃণমূলের নেতাদের কাছে দ্বারস্থ হয় । এখন তৃণমূলী নেতারা তাকে ছাড়ানোর জন্য তৎপর হয়েছেন।