অবতক খবর,২১ নভেম্বরঃ সাত সকালে স্কুলের মাঠে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ।ব্যান্ডেল নলডাঙা নারায়নপুর প্রাইমারি স্কুলের সামনে বোমা পরে থাকতে দেখা যায়।সকালে স্থানীয়রা দেখেন তিনটি বোমা পরে রয়েছে স্কুলের সামনে মাঠে।কে বা কারা বোমা ফেলে গেল কি উদ্দেশ্যে তা স্পস্ট নয়।পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে বোমা গুলিকে বালতিতে জল ভরে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা বিতন সাহা জানান, সকালে উঠে দেখি স্কুলের মাঠের সামনে পড়ে রয়েছে বোমা। স্কুলের মাঠে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা করে, সেখানে পড়ে রয়েছে বোমা। আর তাতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বাচ্চারা বল ভেবে খেলতে গিয়ে যেকোনো সময় বিপদ ঘটে যেতে পারত।

উল্লেখ্য, কুলপিতে বোমা ফেটে জখম হয় তিন শিশু।মিনাখাঁয় এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বোমা ফেটে। এবার হুগলিতে স্কুল মাঠ থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়।

চুঁচুড়া তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার বোমা উদ্ধারের ঘটনায় সরাসরি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, বোমের রাজনীতি আমদানি করেছে বিজেপি আর লকেট। স্কুলের সামনে দু একটা বোম পাওয়া গেছে তার সত্যতা আমি জানিনা। ২০১১ এর পর থেকে আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা সমস্ত ধরনের সমাজ বিরোধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি প্রশাসনের মাধ্যমে। ২০১৯ এ লকেট আসার পর এই গুন্ডাবাজি রাজ আবার লকেট চট্টোপাধ্যায় চালু করেছে। তাদের সংগঠন বলে কিছু নেই। দু চারগাছা লোক নিয়ে লাফালাফি করে। পঞ্চায়েতে একটি আসন ও পাবে না এই বোম দেখে চমকাচ্ছে যদি কিছু মানুষকে ভয় দেখানো যায়।

পাল্টা বিধায়ককে আক্রমণ করতে ছাড়েননি হুগলি জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের আগে নলডাঙ্গাতে বোমা রাখতে দেখছি, শুধু বোমগুলো ফাটেনি। পঞ্চায়েত ভোট আসতে না আসতে আবার শুরু হয়ে গেছে। ২০১১ থেকে আমরা দেখতে পেয়েছি সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে আর কোন শিল্প হোক বা না হোক তৃণমূলের নেতৃত্বে একাধিক জায়গায় বোম এর কারখানা গড়ে উঠেছে। যেগুলো তারা ভোট আসলেই কাজে লাগায় সেই সময় শুরু হয়ে গেছে। উচ্চ নেতৃত্ব নিচু তলার কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বোমা বন্দুক মজুত করতে। কারণ সাধারণ মানুষের রায় জিততে পারবে না বোমা বন্দুকের দ্বারা জিততে হবে। তাই অস্ত্র মজুদ করছে। তারা সংসদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে। বিধায়কের নেতৃত্বে চুঁচুড়া বিধানসভার একাধিক জায়গায় অসামাজিক কার্যকলাপ চলছে। পুলিশ সেগুলির কোনরকম দৃষ্টিপাত করেনি।

চন্দননগর পুলিশ কমিশনার অমিত পি জাভালগি জানিয়েছেন,ফাঁকা মাঠে তিনটি বোমা পড়েছিল, কে বা কারা এগুলো ফেলে গেছে সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ছবি দেখা হচ্ছে।