অবতক খবর, ৩ জানুয়ারিঃ সামান্য মাথাগোঁজার ঠাঁই চেয়েছিলেন আরজুনা বিবি। বিডিও- দরবারে ডেপুটেশন সমাবেশে হাজির ছিলেন। স্লোগান তুলেছিলেন আবাস যোজনার দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আবেদন করেছেন তিন তিনবার কিন্তু সব বিফলে গিয়েছে। নরঘাটার ইটভাটায় ইট বানায় তার স্বামী। তার মাথাগোঁজার ছাউনি নেই। ইটভাটার ঝুপড়িতে থাকেন। তার ঠিকানা নন্দকুমার ব্লক ৩, শীতলপুর গ্রাম পঞ্চায়েত, গিরিরচক গ্রাম। গ্রেফতার হয়ে গেলেন ২০২২ সাল শেষ হবার মুখে ৩০ ডিসেম্বর।

সেই স্পর্ধা দেখানো নারীটি আরজুনা বিবি সাবিত্রী ফুলে বাঈয়ের ১৯২তম জন্মের দিন তিন জানুয়ারি জামিন পেলেন। পাবার পর প্রকাশ্যে সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতি বর্বরতার কাহিনী তুলে ধরলেন। কি বললেন আরজুনা বিবি!

হুবহু আপনাদের কাছে তুলে ধরছি। ‘ওনাদের হাতে পায়ে ধরেছি। তবুও ওরা মেরেছে, নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করেছে। ছেলে পুলিশ গলায় পা দিয়ে চাপা দিয়েছে। আমি বলেছিলাম, খুব ব্যথা হচ্ছে। একটু মলম হবে? ওরা দেয়নি।তারপর মহিলা পুলিশ অফিসারকে বললাম, জল তেষ্টা পেয়েছে। একটু জল দেবেন? ওরা বলল, জল দেব না, পেচ্ছাপ করছি তোর মুখে। পেচ্ছাপ খা। আমি বললাম, আপনি খান। তখন সঙ্গে সঙ্গে পিছন থেকে এসে আরেকজন লাঠি দিয়ে মারলো আমায়।’

পুলিশের এই নির্মম অত্যাচারের বিবরণ বলতে বলতে মাটিতে বসে পড়েন আরজুনা বিবি।

ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছে। ৭৫ বছর তার পূর্তি চলছে। স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব চলছে দেশ জুড়ে।

ভারত মাতা জিন্দাবাদ!