অবতক খবর, পিন্টু প্যাটেল , বর্ধমান : – বাঙালির ১২মাসে ১৩পাবন দুর্গাপুজো শেষ হতেই সামনে আসছে কালি পুজো ।কিন্তু এবারে করোনা আবহে সরকারি নির্দেশকে মান‍্যতা দিয়েই যেভাবে দুর্গাপুজো হয়েছে মন্ডপের ভেতরে প্রবেশে বাঁধা ছিলো।

 

ঠিক একিরকমভাবে কালি পুজোতেও সরকারি নির্দেশিকা জারি রয়েছে এখানেও পুজো মন্ডপে দর্শনার্থীদের ঢোকা যাবে না ।পূর্ব বর্ধমান জেলার শহর বর্ধমানের কাঞ্চননগর রথতলা শাখারী পাড়া এলাকায় মা কঙ্কালেশ্বরী দেবী মূর্তি রয়েছে।খুব প্রাচীন এই মূর্তি ।অদ্ভুত এই কালীমূর্তি,এটি একটি অষ্টভুজা চামুণ্ডা মূর্তি।

এখান জিনি পুজারি রয়েছেন ৪০বছর ধরে রয়েছেন মায়ের নিত‍্য সেবাইত শঙ্কর চক্রবর্তী তিনি জানান এটি ১৩২৩ বঙ্গাব্দে দামোদর নদীগর্ভে পরমানন্দ পরিব্রাজক এক সাধক সপ্নাদেশে এই মাকে পান।তারপর বর্ধমানের রাজা এই মূর্তিটি এখানে প্রতিষ্ঠাপন করে দিয়ে যায় ।আরও বলেন কঙ্কাল আকার কালির সাথে সাদিশ‍্য আছে তাই কঙ্কালেশ্বরী নাম হয়েছে । উচ্চতা প্রায় ১.৮ মিটার। কালীর এই চামুণ্ডা মূর্তিটি অনেকে বৌদ্ধ চামুণ্ডার রূপ বলেন। আবার অনেকের মতে এটি বৌদ্ধ আমলে তৈরি।

 

মূর্তিটি দেখলে মনে হবে পাথরের উপরে মানুষের দেহের যেন কঙ্কাল-রূপ। কঙ্কালসার মূর্তিতে মানব দেহের শিরা-উপশিরা-ধমনীর প্রত্যেকটি খুব নিখুঁতভাবে খোদাই করা। যে শিল্পী পাথরের উপর এই মূর্তি খোদায় করেছিলেন তাঁর মানব দেহ সম্পর্কে নিশ্চয়ই গভীর জ্ঞান ছিল। তা না হলে এই রকম মূর্তি খোদাই করা সম্ভব হত না। মূর্তির গলায় নরমুন্ডের মালা।

কালো পাথরের খোদাই করা এই মূর্তির পদতলে শায়িত অবস্থায় আছেন মহাদেব। মূর্তির উপরে ডান দিকে আছে হস্তি মুণ্ড। মূর্তির নিচে ডান দিকে আছে এক উলঙ্গ পুরুষের কাঁধে শবদেহ। বাঁ দিকে এক নগ্ন নারী মূর্তি। মায়ের এই ভয়ঙ্কর রূপ দেখে ভক্তরা ভয়ার্ত চিত্তে মাকে ভক্তি জানায়। স্থাপত্য শিল্পের দিক থেকে মা কঙ্কালেশ্বরী মূর্তি সত্যই অপূর্ব। এখানে উল্লেখ্য, এই মূর্তির বাঁ দিকে আছে আর একটি চামুন্ডা মূর্তি।