নিজস্বসাংবাদদাতা ::অবতাক খবর ::মুম্বাই ::১৭ই ফেব্রুয়ারি ::  সিদ্ধার্থের বিজয়কে মেনে নিতে পারছেন না অনেকেই। এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কে জিতল? যে মারামারি, হাতাহাতি করেছে। যে নারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে। যে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেছে।

মা–বাবা তুলে গালি দিয়েছে। বন্ধুকেও আঘাত করতে যার এতটুকু হাত কাঁপেনি। আরেকজন লিখেছে, এই শেষ। আর জীবনে দেখব না বিগ বস। বিদায়! পক্ষপাতিত্বমূলক আচরণ। আরেকজন লিখেছেন, ভালো দেখ দেখালে মনীষা শর্মা।

অনেকে আবার কালারস টিভির সাবস্ক্রিপশন বন্ধ করে দেবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন। কয়েকজন এ–ও বলেছেন, এই সিজন সিদ্ধার্থ শুক্লাকে বিজয়ী বানানোর জন্য করা। আগে থেকেই সব ঠিক ছিল।২০০৮ সালে ‘বাবুল কে অঙ্গন ছোট না’ সিরিয়ালের মধ্য দিয়ে শুরু হয় ছোট পর্দার পথচলা। ‘লাভ ইউ জিন্দেগী’, ‘বালিকা বধূ’, ‘দিল সে দিল তাক’ সিরিয়ালগুলো তাঁকে পরিচিত করে তোলে।

‘ঝালাক দিখ লা যা’ ও ‘ফিয়ার ফ্যাক্টর’ সেই জনপ্রিয়তাকে উচ্চতা দেয়। ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’ ছবিতে বরুণ ধাওয়ান ও আলিয়া ভাটকে সঙ্গী করে প্রথমবারের মতো বড় পর্দায় দেখা দেন তিনি।

বিগ বসের ১৩তম সিজন শুরুর আগে থেকেই বিতর্ক ছায়ার মতো সঙ্গ দিয়েছে। এমনকি এবারের সিজন শেষ হয়ে যাওয়ার পরও বিতর্ক নামছে না বিগ বসের ঘাড় থেকে।

২০১৯ সালে ভারতে যে ১০ তারকার নাম সবচেয়ে বেশিবার গুগল করা হয়েছে তাঁদের একজন, ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ সিদ্ধার্থ শুক্লা। আর যাঁরা বিগ বস অনুসরণ করেন, তাঁরা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন, ৩৯ বছর বয়সী সিদ্ধার্থ শুক্লার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে বিগ বসের ১৩তম আসরের বিজয়ী।

কিন্তু তবুও বিতর্ক যাচ্ছে না। বলা হচ্ছে, কালারস টিভির ক্রিয়েটিভ হেড মনীষা শর্মার সঙ্গে নাকি গোপন প্রণয় সিদ্ধার্থ শুক্লার।

তাই বিগ বসের ট্রফি উঠেছে এই ‘রগচটা, বাজে আচরণকারীর’ হাতে। যদিও এটি ঠিক যে চরম অসুস্থ হয়েও তিনি বিগ বস ছাড়েননি। সব শক্তি, বুদ্ধি, প্রচেষ্টা উগরে দিয়েছেন প্রতিবার জয়ের জন্য। চিৎকার করে বলেছেন, হারতে তিনি শেখেননি।