সিলঃ কারারুদ্ধ কন্ঠ
তমাল সাহা
কারারুদ্ধ সময়। শ্বাসরোধী হওয়া বয়ে চলে এই ভারত মহাসাগরের প্রান্তরে। প্রাকৃতিক অন্ধকার নয়, অন্য এক আঁধার নেমে আসে সংবাদ দপ্তরে।
রাজদণ্ড হাতে নিয়ে ক্ষমতার সন্ত্রাস দিল্লি কুড়িগ্রাম গাজিয়াবাদ থেকে মুম্বাই– একের পর একসংবাদকলমীদের বাড়ি, ঘরে ঘরে কড়া নাড়ে।
সাংবাদিকদের তুলে নিয়ে যায় লোদি রোডে দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের চত্বরে।
জেরা মানে ইন্টারোগেশন চলে, কি বলবে তুমি জবাবে উত্তরে?
রে সাংবাদিক, তুমি কি দিল্লির সীমান্তে কৃষক সংগ্রাম নিয়ে কলম ধরেছিলে কোনদিন?
তুমি কি সিএএ বিরোধী আন্দোলনে লিখেছ কোন কিছু সংবাদের পাতায়?
তুমি কি সিগনাল অ্যাপ ব্যবহার করো?
তুমি কেন কি কারণে অমুক অমুককে ফোন করো?
তোমরা তো দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করো।
এবার তবে ইউএপিএ আইনে গ্রেপ্তার হ’লে, জেলে পচে মরো।
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে ৩ অক্টোবর, মঙ্গলবার সকাল ছ’টায় হানাজারী শুরু। পাঁচটি শহরে পাঁচটি শহরে ৫০০ জন পুলিশ নিয়ে গঠিত স্পেশাল টিম বিভিন্ন স্থলে হানাদারী চালিয়েছে ৪৬ জন কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সিজ করা হয়েছে ল্যাপটপ পেনড্রাইভ মোবাইল ফোন।
জিজ্ঞাসাবাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভাবে রয়েছেন
সাংবাদিক ডি রঘুনন্দন, অভিসার শর্মা, প্রবীর পুরকায়স্থ, অমিত চক্রবর্তী, সোহেল হাশমি, উর্মিলেশ এবং ভাষা সিংহ।
গ্রেফতার করা হয়েছে প্রবীর পুরকায়স্থ ও অমিত চক্রবর্তীকে।
সিল
দরজার কড়া নড়ে ওঠে,
কেউ কি আছো ভিতরে?
এবার নতুন প্রকল্প রাষ্ট্র দুয়ারে।
বসতে দাও তাকে, খুলে দাও খিল
ইন্টারোগেশন, অ্যারেস্ট
কন্ঠ টিপে ধরো, রুখে দাও অক্ষরের সোচ্চার।
সংবাদ দপ্তর বন্ধ—
তালার উপরে গালা লাগানো রাষ্ট্রীয় সিল।