অবতক খবর,৫ জুলাই,মলয় দে নদীয়া:- যেকোনো ইমারজেন্সি পেশেন্টের ক্ষেত্রে হাসপাতালে দরকার একটি সি সি ইউ অর্থাৎ ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট যেখানে উন্নত বিভিন্ন চিকিৎসা যন্ত্র এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার বাবুদের সমন্বয় থাকে আর পাঁচটা নামিদামি সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে।

তবে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে এমন কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও, বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তার বাবু, নার্স এবং এবং প্যারামেডিকেল স্টাফেদের সমবেত প্রচেষ্টায় শুধু প্রাণে বাঁচনোই নয় , রীতিমতন তার দৃষ্টিশক্তি পুনরায় ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরত যেতে পেরে খুশি শান্তিপুর শহরের রাজাপুরের বাসিন্দা মামপি খাতুন এবং তার পরিবার।

এ প্রসঙ্গে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালের গাইনোকোলজিস্ট ডক্টর পবিত্র বেপারী বলেন, হাসপাতাল সুপারিন্টেন্ট ডক্টর তারক বর্মন অনুমতি ক্রমে এবং ওই পরিবারের পক্ষ থেকে সম্মতি দেওয়ার ফলেই রোগীকে সম্পূর্ণ সুস্থ করে তোলা গেছে । এ বিষয়ে ডঃ তন্ময় সরকার ,ডক্টর প্রদীপ দাস, ডক্টর তরুণ বক্সী সহ গাইনি ডিপার্টমেন্টের সমস্ত ডাক্তার এবং সিস্টারদের অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার প্রশংসা করেছেন ডঃ বেপারী।

রোগী সম্পর্কে তিনি বলেন প্রসবের আগে প্রসবের সময় কিংবা পরে কনভালশন খিচুনি হয়ে থাকে অনেক মায়ের ক্ষেত্রে, এক্ষেত্রে মাম্পি খাতুন কালনায় একটি নার্সিংহোমে, সম্প্রতি সিজারে সন্তান প্রসব করার পর এই সমস্যা নিয়ে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে উনার সমস্যা ছিল প্রেসার যা সেসময় ২১২/ ১১০ ।

আর সেই কারণেই দৃষ্টি শক্তি প্রথমে ঝাপসা পরবর্তীতে একেবারেই না দেখা অনুভব করছিলো। বিভিন্ন বিভাগের ডাক্তারদের সাথে পরামর্শ মাফিক তার নিয়মিত চিকিৎসার ফলে আজ সে সম্পূর্ণ সুস্থ।