পদ্মা সেতু নির্মাণের পর সেতু নিয়ে খুব আলোচনা হচ্ছে। দু অক্ষরের একটি শব্দ সেতু। কিন্তু এর নির্মাণ যে কত জটিল আর সেতু যে কেবলমাত্র নদীর ওপরেই গড়া যায় না অন্যভাবেও গড়া যায় তার নির্মাণ পদ্ধতি এখনো আমরা জানি না।

সেতু
তমাল সাহা

সাঁকো দেখেছি গাঁগঞ্জে
খাল পারাপারে বাঁশের সাঁকো দেখেছি
দুটো বাঁশ দিয়ে বানানো সাঁকোর উপর দিয়ে এপার-ওপার চলে যাচ্ছে মানুষ
হাটে যাবে, গেরস্থালি জিনিসপত্র চালডাল তেলনুন হাঁড়ি জলের কলসি কিনবে।

কুকুরটি যখন মুখে মাংসের টুকরো নিয়ে পালাচ্ছিল সে সাঁকোর উপর দিয়ে যাচ্ছিল।
এই সেতুই কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার–
সাঁকো না থাকলে জলে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পেত না আর মাংসের টুকরোটিও হারাতে হতো না!

এখন খুব সেতু তৈরি হচ্ছে।
ইট পাথর সিমেন্ট মিশিয়ে যাকে বলে কংক্রিট তাতে খুব মজবুত দীর্ঘ দীর্ঘ সেতু তৈরি হচ্ছে।
রামচন্দ্রও সেতু বানিয়েছিলেন সমুদ্র পেরিয়ে যুদ্ধযাত্রার জন্য।

সেতু নিয়ে খুব গর্ব আমাদের। পারাপারের সেতু তৈরি হচ্ছে, এর মালমশলা সবই বাজারে পাওয়া যায়।

হৃদয়সেতুর দেখা নেই!
অথচ এই সেতু বানাতে রাজকোষের কোনো অর্থ ব্যয় জরুরি নয়
যেটা জরুরি সেটা অনুভব।

এই অনুভব যে কোথায় থাকে
তার খোঁজ কি কেউ দিতে পারে?