অবতক খবর,১০ ফেব্রুয়ারী:  সোমবার দ্বিতীয়ার্ধের অধিবেশন শুরু হওয়ার পর রাজ্য সরকারের বিজ্ঞাপন নীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খড়্গপুর সদরের বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময়ে স্পিকার তাঁকে বলেন, ‘‘আপনি এ ভাবে কথা বলতে পারেন না।’’ পাল্টা হিরণ বলেন, ‘‘আমি কী বলব, তা আপনিও ঠিক করে দিতে পারেন না। জনপরিষেবা কমিশনে রাজনৈতিক প্রভাবিত লোকেদের বসিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না।’’ ফের তাঁকে বলতে বারণ করেন স্পিকার। পাল্টা হিরণও বলেন, ‘‘আপনি এ ভাবে আমাকে ডিকটেট (নির্দেশ দিতে) করতে পারবেন না।’’

এর পরেই হিরণের মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্লোগান তোলেন তাঁরা। সেই সময়েই শঙ্কর এবং মনোজকে কক্ষ থেকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। দুই সতীর্থকে অধিবেশন কক্ষ থেকে বার করে দেওয়ার প্রতিবাদে বিধানসভার কার্যবিবরণী ছিঁড়ে ফেলেন ফালাকাটার বিজেপি বিধায়ক দীপক বর্মণ। স্পিকার তাঁকে সাসপেন্ড করেন।

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আজ যা ঘটল, তা নিয়ে পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরেই যাবতীয় পদক্ষেপ করা হবে।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘এখন বিধানসভায় যে সব মার্শাল কর্মরত, তাঁরা সকলেই এক্সটেনশনে রয়েছেন। এত দিন বাইরে যে দাদাগিরি দেখাতেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, এখন সেটা বিধানসভার ভিতরে দেখাচ্ছেন। গুন্ডামি চলছে বিধানসভায়।’’ বিধানসভায় বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্করও বলেন, ‘‘বিধানসভায় বিরোধীদের তো কথা বলতেই দেওয়া হয় না।’’