অবতক খবর,১৪ জুলাইঃ পঞ্চায়েত নির্বাচনে দিকে দিকে ভালো ফল করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে ভালো ফল করলেও শাসকদলের তরফে এখনই বিজয় উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আর এরই মাঝে রীতিমতো চটুল নাচে, গানে বিজয় উৎসবে সামিল হলেন এলাকার সকল বয়সের মানুষেরা। তবে সংস্কৃতি প্রেমী মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রবীন্দ্রসংগীত বা বাংলা গানে নয় চটুল গানে, স্বল্পবসনা রূপান্তরিত তৃতীয় লিঙ্গের নর্তকীদের দেখা গেল হিন্দি গানের তালে তালে নানা অঙ্গ ভঙ্গির মাধ্যমে, কোমর দুলিয়ে নাচতে। আর সেই ভিডিওই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল সর্বত্র। এলাকার কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ সকল বয়সের মানুষ তখন একবার উকি দিয়ে দেখার জন্য প্রস্তুত।

রীতিমত এলাকায় জমে গিয়েছে ভিড়। বাড়ির ছাদ আশপাশের পাঁচিল সব জায়গাতে তখন ভরে উঠেছে এলাকার যুবকদের ভিড়ে। সাউন্ড সিস্টেমে তখন তারস্বরে বাজছে একের পর এক ডিজে হিন্দি গান। আর সেই গানেই প্রথমে আমডাঙার শশিপুর গ্রামের শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের দেখা যায় উদ্দাম নৃত্যের সঙ্গে আবির খেলতে। ধীরে ধীরে জমে ওঠে বিজয় উৎসব। এরপরেই দেখা যায় চটুল গানে কোমর দুলিয়ে নাচতে দুই রূপান্তরিত তৃতীয় লিঙ্গের স্বল্পবসনা নর্তকীদের। বিভিন্ন কুরুচি কর অঙ্গভঙ্গির মধ্যে দিয়েই এলাকার যুবকদের মন জয় করতে একের পর এক হিন্দি গানে নাচতে দেখা যায় তাদের। আর এভাবেই ভোটে জিতে এলাকাবাসীদের মনোরঞ্জন করতেই এই ব্যবস্থাপনা চন্ডিগড় পঞ্চায়েতের ৫৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আজমিরা খাতুনের। শাসক দলের এহেন বিজয় উৎসবকে ঘিরে উঠেছে প্রশ্ন।

বিরোধীরা বিষয়টিকে নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন। অপসংস্কৃতির ধারাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে শাসক দল, বলেও মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিরোধী নেতৃত্বরা। মাত্র ১৯৯ ভোটে জয়লাভ করেছেন তৃণমূলের এই প্রার্থী। আর তাই পরিবার-পরিজনসহ দলীয় কর্মী সমর্থকদের আনন্দ দিতেই এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন তৃণমূলের টিকিটে এগিয়ে জয়ী হওয়া এই প্রার্থী। তবে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই বিজয় উৎসবের ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। তবে ৫১ বছর পর শশীপুর গ্রামে ফুটল জোড়া ফুল। চন্ডীগড় পঞ্চায়েত ২৫ টি আসনের মধ্যে ২৪ টি তৃণমূলের দখলে থাকলেও, একটি আসন পেয়েছে সিপিআইএম। তবে এভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিজয় উৎসব করার কারণে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে দল এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।