অবতক খবর,২৮ অক্টোবর: কয়েকমাস আগে বাড়ির কাউকে না বলে দিল্লি চলে গিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন মুকুল রায়। অপহরণের অভিযোগ করেছিল তাঁর পরিবার। যদিও মুকুল রায় জানিয়েছিলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। কেউ তাঁকে অপহরণ করেনি। স্বেচ্ছায় দিল্লি এসেছেন। পাশাপাশি তাঁর ঘোষণা ছিল, তিনি বিজেপিতেই আছেন। কিন্তু বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এবার আর মুকুল রায়কে গুরুত্ব দেয়নি। তিনি ফিরে আসেন কলকাতায়।তারপর থেকেই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে গিয়েছেন তিনি। ভাইরাল ছবি ফের তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে।
দলের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে মুকুল রায় তৃণমূলে ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ মনোনীত হয়েছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পুলিশ প্রশাসন, আমলাদের নিয়ন্ত্রণ করতেন বলে দলের অন্দরে চর্চিত ছিল। এমনকী বিধায়ক বা সাংসদের টিকিট পেতে গেলেও তাঁর সবুজ সংকেতের প্রয়োজন হত। কাঁচরাপাড়ায় আসলে তাঁকে ঘিরে থাকতেন এক ঝাঁক অনুগামী। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতা আসার কিছুদিনের মধ্যে তাঁর সঙ্গে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে থাকে। দলের অন্দরে গুঞ্জন রয়েছে, তৃণমূলে অভিষেকের উত্থানের সঙ্গে সঙ্গে দলে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন তিনি। পরবর্তীতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন। তিনি গত বিধানসভায় নদিয়ার কৃষ্ণনগর বিধানসভা থেকে বিজেপি প্রতীকে জয়ী হয়ে বিধায়ক নির্বাচিত হন। কয়েকমাস পরই তিনি ছেলে শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তিনি অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন। পরবর্তীতে তিনি নিজে একাই দিল্লি গিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তৃণমূল দলটা আর করা যায় না বলে তিনি উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। ফলে, তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান এখনও স্পষ্ট নয়। এরই মাঝে নতুন করে তাঁর এই ছবি সামনে আসতেই নানা ধরনের মন্তব্য করেছেন অনেকে। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাঁর এই ছবি পোস্ট করে অনেকে নানা ধরনের কমেন্ট লিখেছেন। কেউ আবার লিখেছেন, ‘পাপ বাপকেও ছাড়ে না।’ কেউ লিখেছেন, ‘মুকুল ঝড়ে পড়েছে।’
এ নিয়ে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেন, ‘বাবার শরীর খুব খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। মাথায় অস্ত্রোপচার হয়েছে। বাড়িতেই আছেন বাবা।’
ছবিতে দেখা যাচ্ছে,খাটের ওপর বসে আছেন মুকুল রায়। বাঁ হাতে রয়েছে স্লাইস পাউরুটি আর ডান হাতে স্টিলের চামচ। বিছানাতেই জলচৌকির ওপর প্লেটে তরকারি, আরেক পিস রুটি। আহার সারছেন তিনি। পরনে নীল টি শার্ট ও ছাপা রংয়ের শর্ট প্যান্ট। চেহারা শীর্ণকায়। কৃষ্ণনগরের বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়ের এই ছবি প্রায় সমস্ত সোশাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল।