অবতক খবর,৯ এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- ছাত্রকে বেধড়ক মার এর অভিযোগ উঠল শিক্ষকের বিরুদ্ধে।প্রধান শিক্ষক সুবীর ভৌমিকের লাঠির মারে পিঠে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। থানার দ্বারস্থ আহত ছাত্রের পরিবার।ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার রানাঘাট থানার নাসারা বয়েজ স্কুলের। জানা যায় শিক্ষকদের নজরদারির গাফিলতিতে এমন ঘটনা।ছাত্ররা স্কুলে মারামারি করছে শিক্ষকদের নজর নেই সেটা। দুই ছাত্রের মারামারি।

অভিযোগ সেই সময় প্রধান শিক্ষক এসে নবম শ্রেণীর ছাত্র সায়ন দত্ত কে বেধড়ক মেরে পিঠে বেত ভাঙ্গে। পিঠে কালশিটে একাধিক দগদগে আঘাতের চিহ্ন অসুস্থ হয়ে পড়ে সায়ন। অভিভাবকরা এলে দেখা করতে দেয়নি। পরিবারের পক্ষ থেকে আরো অভিযোগ ওঠে স্কুল কর্তৃপক্ষ হুমকির সুরে বলে এ বিষয়ে কোথাও অভিযোগ করলে স্কুল থেকে টিসি নিতে হবে। ঘটনার বিবরণ জানিয়ে রানাঘাট থানার দ্বারস্থ আহত ছাত্রের অভিভাবক।

এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি। প্রধান শিক্ষকের হয়ে মুখ খুললেন স্কুলের প্রেসিডেন্ট মনোজ সেন গুপ্ত। তিনি বলেন বেত ফিরিয়ে নিয়ে আসার দাবি তোলা সুশীল সমাজ নিশ্চয়ই বিষয়টি অনুভব করতে পারছেন। তবে সকলের জ্ঞাতার্থে বিষয়টি জানানো প্রয়োজন, ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত না থাকলেও পরবর্তীকালে খোঁজ নিয়ে দেখেছি মিড ডে মিলের কর্মীরা স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মী এবং অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীরা প্রত্যেকেই স্বচক্ষে দেখেছে ওই ছেলেটি অপর একটি ছেলের সাথে মারামারিতে এমনভাবে লিপ্ত হয়েছিল যাতে তার অসুস্থতার কারণে অ্যাম্বুলেন্স করে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হয়।

সে বিষয়ে সায়নের এতোটুকুও অনুতপ্ত হয়নি বরং সে তার প্রধান শিক্ষককের সাথে হুমকির সুরে কথাবার্তা বলেছে যা ছাত্র সুলভ আচরণ নয়। নিজে হাতে তৈরি করা ছাত্রের এই ঔদ্ধত্য দেখে হয়তো প্রধান শিক্ষক নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেননি, তার জন্য তিনিও অনুতপ্ত। তবে মিথ্যের আশ্রয় নিয়ে ঘটনা অনেকটাই বাড়িয়ে থানায় অভিযোগ আরো নিন্দনীয়। শিক্ষকের যদি শাসনের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে এ সমাজ কিভাবে তৈরি হবে ? তিনি প্রশ্ন করেছেন সংবাদমাধ্যমের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের নাগরিকদের কাছে।