অবতক খবর,২ ফেব্রুয়ারি ::  সরকারিভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে স্কুল টিচাররা প্রাইভেট টিউশন করতে পারবেন না। কিন্তু লোভী স্কুল টিচাররা কি  তা করবেন? তারা তো প্রাইভেট টিউশন চালিয়ে যেতে চাইছেন। এত উপরি টাকা আর কি সহজে ছাড়া যায়?

এই টাকার কোন আয়কর দিতেও হয় না এবং আয়কর বিভাগকে তারা জানানও না। তারা নাকি শিক্ষক! শিক্ষার প্রগতির জন্য লড়ে যাচ্ছেন আজীবন! তারা নাকি ছাত্র তৈরি করছেন! এই স্কুল শিক্ষক যারা প্রাইভেট টিউশন করছেন তাদের তো শনাক্ত করতেই হবে। তারা অনেক শিক্ষিত বেকারের রুজি মেরে দিয়েছেন।

এখন প্রশ্ন, স্কুল টিচাররা কি সত্যিই ভালো পড়ান? দু নম্বর প্রশ্ন, এই স্কুল টিচাররা প্রাইভেট টিউশনে যত আগ্রহী, স্কুলের ছাত্রদের প্রতি,ছাত্রদের শেখানোর জন্য কি ততখানি আগ্ৰহী কি? আসলে অনেক টিচার স্কুলে আসেন স্কুলের ক্লাস কোনমতে চালিয়ে দেন

সোজা কথায় কোনো মতে স্কুলের সময়টা কাটাতে পারলেই হয়। কারণ তারা ভাবেন ওই ছাত্ররাই তো আবার তার কাছে প্রাইভেট টিউশনে গিয়ে পড়বেন। সুতরাং স্কুলে পড়ানোতে তারা আর ততো গুরুত্ব দেন না।এরা স্বনামধন্য শিক্ষক। উপরি উপার্জনে যতটা দক্ষ, স্কুলে পঠন-পাঠনে ততটাই লক্ষ্যহীন।

অভিভাবকদেরও এই জিনিসটি বোঝানো যাচ্ছে না। ‌যদি স্কুলে শিক্ষক যথাযথ পঠন-পাঠন করান, তাহলে প্রাইভেট টিউশন প্রয়োজন হতনা। তারা যদি সত্যি যোগ্য শিক্ষক হন তাহলে স্কুলের পর তারা প্রাইভেট টিউশন করবেন কেন?  কিন্তু অভিভাবকরা এই প্রশ্ন তারা তুলছেন না। ‌ যে স্কুলের শিক্ষকের কাছে তিনি তার সন্তানকে পড়াচ্ছেন তিনি স্কুলে যথাযথ পড়াচ্ছেন কিনা সেই কৈফিয়ৎ চাইছেন না। তাই স্কুল শিক্ষকরা জেনে শুনে তার দায়িত্ব পালন করছেন না। এর জন্য মূলত অভিভাবকরাই দোষী।

আরো দেখা গেছে যে, অভিভাবকরা মনে করেন, যেহেতু এই শিক্ষকের কাছে ভালো ছাত্র পড়তে যাচ্ছে সুতরাং তার ছাত্রের মান যাই হোক না কেন ওইখানে গেলে তার ছেলে ভালো হবেই। সুতরাং দল বেঁধে পঠনের একটা পদ্ধতি বা নিয়ম চালু হয়ে গেছে। এক একটা পাড়া মাস্টারপাড়া নাম পেয়ে গেছে। একটা ঘর ভাড়া করে মাস্টাররা সেখানে নিয়মিত স্কুলের মতই এক গাদা ছাত্র পড়িয়ে যাচ্ছেন। আর অভিবাবকরা বাইরে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন।কোন সুশিক্ষা দিয়ে ছাত্রটিকে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছেন তারাই জানেন।

এখন যেহেতু সরকারিভাবে বাধা পড়েছে, তাই এই স্কুল শিক্ষকরা যারা প্রাইভেট টিউশন করান  একটা সুচতুর প্রক্রিয়া নিয়েছেন। তারাই এখন  অভিভাবকদের উস্কে দিচ্ছেন, এই নিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার জন্য। আর তাদের উস্কানি তে বহু অভিভাবক আন্দোলন ও করতে নেমে পড়েছেন। স্কুল শিক্ষকদের উস্কানিতে অনেকে নেতাদের কাছে ছুটে যাচ্ছেন। পুলিশ প্রশাসনের কাছেও দরবার করে পিছুপা হচ্ছেন না।

সোজা কথায় তারা সুধ্রাবেননা। তারা প্রাইভেট টিউশন করবেনই। কিছু লোভি স্কুল শিক্ষকদের পাল্লায় পড়ে কাঁচড়াপাড়া ও হালিশহরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে আন্দোলন, দরবার। এই স্কুল শিক্ষকরা এতই শিক্ষিত যে তারা  এটাও বোঝেন না যে, সরকারি নির্দেশিকাকে কি করে স্থানীয় নেতা নিয়ন্ত্রণ করবেন? তবুও তারা তাদের ধান্দাবাজি জন্য শেষ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

জানা গেছে যে কিচ্ছু অসাধু স্কুল শিক্ষকদের উস্কানিতে কিচ্ছু অভিভাবকরা এক তৃনমূল নেতার কাছে এই নিয়ে দরবার করতে যান। কিন্তু এই নেতা বলেন, এ আবার হয় নাকি? টাকা কামাতে কামাতে শিক্ষকদের মাথা এতো মোটা হয়ে গেল কি করে? তিনিও পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে স্কুল শিক্ষকদের এই ধান্দাবাজি ছাড়তেই হবে। সরকারি নির্দেশ অমান্য করা যাবেনা ?