স্থানীয় এক কৃতী কিশোরী ছাত্রীর আত্মহত্যা। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে মানসিক অবসাদে মৃত্যু?!
স্থানীয় সংবাদ
তমাল সাহা
এতদিন তোরা কি করছিলি বল?
চুমু চুমু পদ্য লিখে করছিলি খলবল!
এখন নিজের ঘরে আগুন দাউ দাউ
জল আনতে চল!
মেরুদণ্ড সোজা রাখুন
বলছে কে?
যার শিরদাঁড়ায় লেগে গেছে ঘুণ!
ওই ছেলেটার পেটভর্তি খিদে
ভাত তো দূরের কথা
কোনো প্রয়োজন নেই নুন!
তোর তো নিজেরই নেই কোনো গুণ,
নিজস্ব সৃজনশীল সম্বল!
প্রজন্ম হবে সব–
লিখিয়ে বলিয়ে আঁকিয়ে
সাঁতারু নাচিয়ে গাইয়ে
ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার,
পরীক্ষায় প্রথম–
তাকে নিয়ে যত কোলাহল!
ওই ছেলেটার লাগেনা মেলামেশা
লাগে না কথা বলার একটুও স্পেস।
জীবনে আশাটাসার কি বোঝে ও
শুধু খিদের সাথে কথা বলে–
দিনের পর রাত আসে
রাতের পর দিন কেটে যায় বেশ।
আত্মহত্যা করে না ওরা
বেঁচে থাকতে চায়–
ভাগ অঙ্কে লড়াই অবশেষ।
মধ্যবিত্তের উপুড় চিৎ পাশ ফিরে শোয়ার অভ্যেস।
শেষ পর্যন্ত গলায় দড়ি–
মৃত্যুর হিসেবনিকেশ!