অবতক খবর,৩০ জুনঃ স্বচ্ছ বিদ্যালয় পুরস্কার রাজ্য পর্যায়ের পরিদর্শন হলো মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা চক্রের ৩০নং আণ্ডিরণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।পরিদর্শক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য প্রতিনিধি হিসেবে পূর্ব বর্ধমান জেলার সমগ্র শিক্ষা মিশনের জেলা কো-অর্ডিনেটর সেখ মিসকিন ও শাসমল হাটি ও মুর্শিদাবাদ জেলার সমগ্র শিক্ষা মিশনের ডিস্ট্রিক পেডাগজি কো -অডিনেটর সুজয় চন্দ্র বিশ্বাস উনাদের রাজকীয় সম্মান ও অভ্যর্থনা জানাই আণ্ডিরণ গ্রামের সর্ব সাধারণ মানুষ ।
রাজ্যখেত আণ্ডিরণ গ্রামের ঢাকীরা বাজনার তালে তালে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করান তাঁদের। প্রবেশ পথে কোভিড সচেতনতা, মাস্ক,প্যাডেল স্যানিটাজার ও থার্মাল গান দিয়ে পরীক্ষা ও শুদ্ধিকরণ করে নেয় বিদ্যালয়ের শিশু সংসদ।অভিভাবকদের দল শঙ্খধ্বণি, চন্দনের ফোঁটা ও পুষ্পবৃষ্টি করে বরণ করে নেয়।
পরিদর্শকরা এতটাই খুশি হন উনাদের প্রদেয় ফুলের তোড়া,উত্তরিয় ঢাকীদের পরিয়ে দেন।শিশুরাও খুব সুন্দর নৃত্য পরিবেশন করেন। এই বিদ্যালয়ের নব সজ্জিত ট্রেনের মডেলে আইসোলেসন রুমের শুভ উদ্বোধন করলেন। মহামারির দ্বিতীয় ঢেউ ও রাজ্যে অক্সিজেনের অভাবে দিশাহারা হন সাধারণ মানুষ। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এই পরিষেবা চালু করলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিশ্বজিৎ দত্ত।
আগামীতে বিদ্যালয় থেকেই পাওয়া যাবে অক্সিজেন পরিষেবা। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন প্রগত হেল্প এন্ড কেয়ার ফাউন্ডেশনের সভাপতি সুখময় সাহা।দীর্ঘ ছুটির পর বিদ্যালয় খুলেই শুরু হয়েছে জল ঘন্টা। বিশুদ্ধ জল পানে তৃপ্ত হচ্ছে শিশুরা।শিশুদের জল খাওয়ার প্রতি অনিহা দূর করতে এই পদক্ষেপ বলে জানান সহ শিক্ষক অমিত রায়।বিদ্যালয়ের কোভিড সচেতনতা, জলের সংরক্ষণ ও পুনঃব্যবহার,জৈব সার উৎপাদন, পচনশীল ও অপচনশীল দ্রব্যের পৃথকীকরণ ও ব্যবহার,শৌচাগার ব্যবহার ,খাওয়ার জল,হাত ধোয়ার ব্যবস্থা, বিদ্যালয় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা,ফেলা দেওয়া জিনিস দিয়ে হাতের কাজ ও বিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিবেশ দেখে আপ্লূত পরিদর্শকরা। তাদের কথায় আগামীর যমিনী রায় পুরস্কারে এই বিদ্যালয় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। ।