স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসবে আমার কবিতা কতদূর যায়..
স্বাধীনতার কথামৃত
তমাল সাহা
আমি জন্মেছিলাম এটা সত্যি,
এটা একদম ঠিক।
আমার জন্মস্থান মায়ের গর্ভাধারে এটুকুই জানি, এর বেশি জানি না।
মা তো নেই হুজুর! পেটে ধরেছিল তো!
আমাকে নিয়ে সে বাঁচতে চেয়েছিল।
সে এপারে না ওপারে ছিল জানিনা।
জীবন বড় বাঁচতে চায়—
কাঁটাতার সীমান্ত কি সব যেন হয়েছিল
পরে মায়ের মুখে এইসব শুনেছি,এর বেশি কিছু জানি না।
তবে মা আমার বলেছিল,
সে ছিল নাটোরের বেশ্যা।
সে আরো বলেছিল যদিও অশিক্ষিত ছিল, ক্ষমতা মসনদ দখলদারিও একটা ব্যবসা।
মা বলেছিল, দেশ খণ্ড করে স্বাধীনতা ভোগ আর নারী দেহ ভোগ একই রে সোনা!
জানিস তফাৎ কোথায়?
আমি পেটের জন্য দেহ বেচে খাই আর ওরা কামাইয়ের জন্য দেশ বেচে খায়!
আমার অশিক্ষিত মা এও বলেছিল, নারীমাংস খেতে ধর্ম বর্ণ দলিত এসব বাছবিচার কিছুই লাগে না!
আর শোন
স্বাধীন পরাধীন, দেশ খণ্ড বিখণ্ড তাতে কি আসে যায় বেশ্যার
তার এপারই বা কি কিবা ওপার
এপারে সোনাগাছি তো ওপারে নাটোর
বেশ্যারা তো চিরকালই খাবার তাদের প্রচুর খরিদ্দার!
আমি তো এর বেশি কিছু জানি না!
এখন কি করি?
আপনিই বলুন,হুজুর! হে জাহাঁপনা?