আজ স্বামী বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবসঃঅবতক-এর বিশেষ প্রতিবেদন —

 অবতক খবর, ৪ জুলাইঃ এখন সবাই জেনে গেছে স্বামী বিবেকানন্দ-নরেন্দ্রনাথ দত্ত কাঁচরাপাড়ায় এসেছিলেন। ১৮৬২ সালের রথের দিন, শিয়ালদহ থেকে রানাঘাট পর্যন্ত রেলপথে প্রথম যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছিল। স্বামী বিবেকানন্দ সেই ট্রেন পথেই কাঁচরাপাড়া স্টেশনে এসে নেমেছিলেন। তারপর গরুর গাড়ি করে রঘু ডাকাতের কালীবাড়ি দেখে কাঁপা মোড় হয়ে বড় জাগুলিয়া গ্ৰামের জমিদার সর্বেশ্বর সিংহের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে ছিল তাঁর শিষ্যার বাড়ি। শিশুদের নিয়ে সেখানে খেলে বেরিয়েছেন, পুকুরে সাঁতারও কেটেছেন তিনি।

স্বামী ব্রহ্মানন্দের দিনলিপি থেকে জানা যায়,৬ জুন,১৯০২ তিনি এই গ্রামের বাড়িতে আসেন এবং ১২ই জুন আবার বেলুড় মঠে ফিরে যান। এই ঐতিহাসিক ঘটনাকে উপজীব্য করেই কাঁচরাপাড়া কাঁপা মোড়ে স্বামী বিবেকানন্দের পূর্ণাবয়ব মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। কিন্তু তিনি কাঁচরাপাড়ায় কবে কোথায় কেন এসেছিলেন সে বিষয়ে একটি স্মারক ফলক নির্মাণ করে মূর্তির পাদদেশে তার বিস্তৃত বিবরণ লিখে দেওয়ার আবেদন নিবেদন করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কাঁচরাপাড়া পৌরসভা সেই কাজটি করতে সমর্থ্য হয়নি।

আজ বিবেকানন্দের প্রয়াণ দিবস।‌যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে আজকের দিনটি কাঁচরাপাড়া পৌরসভা যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করবে কিনা! আজকের এই প্রয়াণের দিন কাঁপা মোড়ে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হবে কিনা এখনো জানা যায়নি এবং বেলা দেড়টা পর্যন্ত সেখানে কোনো শ্রদ্ধাজ্ঞাপক মাল্যদানের অনুষ্ঠান পর্ব আয়োজিত হতে দেখা যায়নি।

কোনো মনীষীর প্রতিকৃতি স্থাপন করাই বড় কথা নয়,সেটি যদি শ্রদ্ধার সঙ্গে লালন এবং পালন করা না হয়, তবে সেই মূর্তি বা প্রতিকৃতির যতই আর্থিক মূল্য থাকুক না কেন, তা যতই মূল্যবান পাথরে নির্মিত হোক না কেন তা মূল্যহীন হয়ে পড়ে যদি সেই পাথুরে মূর্তিতে আমরা প্রাণ সঞ্চার করতে না পারি, তাঁকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান জানাতে না পারি। যেহেতু তিনি কাঁচরাপাড়ার জনপদে এসেছিলেন ফলে এই দিনটিকে স্মর্তব্য মনে করে নাগরিকবাসীর চেতনায় একটি অভিঘাত সৃষ্টির জন্য অন্ততপক্ষে তিনটি দিবস- তাঁর জন্মদিবস, তাঁর প্রয়াণ দিবস এবং আন্তর্জাতিকে তাঁর যে স্বীকৃতি অর্থাৎ শিকাগো সম্মেলনের দিনটি পালন করা উচিত বলে এই প্রতিবেদক মনে করে।

বেলা দুটো কুড়িঃ কাঁপা মোড়ে শ্রদ্ধাহীন আন্তর্জাতিকে পরিচিত আমাদের বিবেকানন্দ