সেই কবে থেকে রাষ্ট্র পরিচালিত হচ্ছে। কারা রাষ্ট্র কিভাবে চালায় কোন কৌশলে চালায়,আর ভাষণে কৌশলই বড়। তুমি বুঝতে পারো আর না পারো। রাষ্ট্র মানেই চতুর এক জীব। তোমাকে করবে শোষণ। সে এক অদ্ভুত প্রক্রিয়া। রাষ্ট্রও স্বীকার করে। কখন কেন স্বীকার করে সেটা
বোঝাই তোমার দায়
নাহলে আজীবন তোমার হায়! হায়!

স্বীকারোক্তি
তমাল সাহা

কোন কিছু না হবার চেয়ে
দেরিতে হওয়াও ভালো।
ভেবেছিলেম শাশ্বত সত্যটি
কোথায় যেন উড়ে গেলো।
পরে পেছনে তাকিয়ে দেখি আছে,
নীচে নামানো হয়েছে মাটিতে।
এতদিন ঝুলছিল সুউচ্চ গাছে।

এটাই আমাদের ভাগ্য, আমাদের বরাত।
কখন কাজে লাগবে
লাগিয়ে দাও ঠিক মত প্রবাদ।

কাটমানি খাওয়া শেষ—
যে যার নিয়েছে গুছিয়ে।
খাওয়া যখন শেষ
মঁসিয়ে উঠলেন ফুঁসিয়ে।
কাটমানি খাওয়া আর চলবে না।
দলের কর্মী কেন কাটমানি খাবে!
এতে চরিত্র খারাপ হবে
কি করে প্রজন্মের কাছে মুখ দেখাবে?

ভালো কত গুণ
উথলে ওঠে শাসকের হৃদয়ে।
তুমি ক্রমাগত শুনে যাও, নীরব থাকো
চারদিক থমথমে ভয়ে।

বালিখাদান চলবে না।
এতে পরিবেশ-ভারসাম্য নষ্ট হয়।
যা তোলার তো তুলেই ফেলেছিস,
এবার চুপ যা বাপ!
নাহলে একুশে পরাজয়।‌

যা খেয়েছো খেয়েছো
এতে চার পুরুষ চলে যাবে,
আর কেন বাপু!
এবার একটু ক্ষ‍্যামা দেবে?

একবার যদিও বলেছিলে
পুরোভাগ একা খেলে চলবে?
অন্যকেও কিছু দিতে হবে।
পঁচিশ শতাংশ খেলে
পঁচাত্তর শতাংশ ফান্ডে যাবে।

শোনোএখন আছি গুড়াপে কংসারিপুরে,
তোলাবাজি করলে অ্যারেস্ট।
গরাদে চলে যাবে কিন্তু আজীবন রেস্ট।
সে নেতা পুলিশ আমি মানবো না
নিজেকে ছাড়া আর কাউকে ছাড়ব না।

এটা কাদের দল জানো?
শুধু ‘ম’ দিয়ে লেখা।
কারোর তোলায় চলে না এই দল
মানুষই এই পার্টির ভাগ্যরেখা।