অবতক খবর,৩ ডিসেম্বর,ডায়মন্ড হারবার: শুভেন্দু অধিকারীর সভার আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় পথ অবরোধ করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। হটুগঞ্জ এলাকা বেশ কিছুক্ষণ ধরে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় বলে অভিযোগ। বিজেপি কর্মীরা যখন বাসে চেপে সভাস্থলের দিকে আসছিলেন, সেই সময় বাসে ভাঙচুর চালানো হয় বলেও অভিযোগ। এরপরই সভাস্থল থেকে হটুগঞ্জের দিকে রওনা হন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। হটুগঞ্জে আটকে দেওয়া হলে, রাস্তায় নেমে যান অগ্নিমিত্রা। পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো বচসা শুরু হয় তাঁর।কেন্দ্রীয় সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা দিচ্ছে না, এই দাবি জানিয়ে এদিন সকাল থেকেই এই জেলার বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ করেন শাসক দলের নেতারা। পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। একদিকে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভ, আর অন্যদিকে বিডিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরাও। অগ্নিমিত্রা রাস্তায় নেমে গেলে, তাঁর সামনে জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগের কথা বলতে থাকেন তৃণমূল কর্মীরা। কুলপি, হটুগঞ্জ এলাকায় কার্যত সরাসরি সংঘাতে নেমেছে দুই পক্ষ। বাইকে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই বেহালা থেকে ডায়মন্ড হারবারের পথে রওনা হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারের লাইটহাউস ময়দানে সভা রয়েছে তাঁর। তাঁর জনসভার আগে সভাস্থলেও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল থেকেই সভাস্থলে একে একে বঙ্গ বিজেপির নেতারা। এরপরই বিভিন্ন জায়গা থেকে অবরোধের খবর আসতে শুরু করে। ভাঙচুর চালানোর খবর পেয়েই ছুটে যান অগ্নিমিত্রা।শুভেন্দুর দাবি, যে কয়েকজন প্রাণ নিয়ে সভায় আসতে পারবেন, তাঁদের উদ্দেশেই বার্তা দেবেন তিনি। পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তাঁর গলায় শোনা যায় হুঁশিয়ারির সুর, বলেন, ‘তৃণমূল যেন মনে রাখে আরও একটা সভা পূর্ব মেদিনীপুরে চলছে।’