অবতক খবর,১২ নভেম্বর,নববারাকপুর: হবু নব দম্পতি। শুভ বিবাহের দু সপ্তাহ বাকি। ২১ নভেম্বর বিয়ের পিড়িতে সামাজিক প্রথায় হবে বিবাহ। কোভিড বিধি মেনে।আমন্ত্রিত বিশিষ্ট জনেরা প্রীতিভোজে অংশগ্রহণ করবেন। রকমারি সুস্বাদু খাবার থাকবে মেনুতে। পাত্র পাত্রী উভয়ের ইচ্ছা সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পেটভরে খাওয়ানোর। সেই ইচ্ছা পূরণে পাত্র পাত্রী উভয় পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতি তে স্হানীয় শ্যামা পুজোর মন্ডপে এবং বস্তি এলাকায় পথবাসী দের হাতে একদম উচ্চ মানের রাধুনি দিয়ে তৈরি প্যাকেট করা চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, ডিমের ডেভিল স্যালাড এবং মিষ্টি তুলে দিলেন পাত্র পাত্রী উভয় এবং পরিবারের সদস্যদরা।মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে পাত্র পাত্রী।

ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে নববারাকপুর জনতা রোড নিবাসী পাত্রী সঞ্চরিতা দত্ত। পেশায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের গবেষক ও অধ্যাপক। পাত্র আকাশ দেব। বিরাটী শক্তিগড় নিবাসী। পেশায় আইসিএমআই থেকে কস্ট একাউন্টটেন্ট। উভয়ের সামাজিক প্রথায় ২১ নভেম্বর শুভ বিবাহ। বিয়ের বাকি দু সপ্তাহ। তার আগেই উভয়ের ইচ্ছা সমাজের প্রান্তিক মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে বিবাহের প্রীতিভোজের খাবার তুলে দেওয়ার। সেই ইচ্ছা পূরণ করতে শনিবার রাতেই স্হানীয় যাত্রিক ক্লাবের শ্রী শ্রী শ্যামা পুজোর মন্ডপে শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে প্যাকেট করা চিকেন বিরিয়ানি, চিকেন চাপ, ডিমের ডেভিল, স্যালাড এবং মিষ্টি তুলে দেন সঞ্চরিতা ও আকাশ দুই হবু নব দম্পতি পরিবারের সদস্যরাও। পাশাপাশি কিছু খাবার মধ্যমগ্রাম রেল বস্তি পথবাসীদের হাতেও শনিবার রাতে তুলে দিলেন রাধুনির সুস্বাদু খাবার। হবু নব দম্পতি সঞ্চরিতা দত্ত এবং আকাশ দেব জানান বিয়ের আগে প্রান্তিক মানুষদের হাতে খাবার তুলে দিয়ে উভয়ের মনের ইচ্ছা পূরণ হল। আমরা গর্বিত ও আনন্দিত প্রায় ১২০ জন অসহায় পথবাসী নিরন্ন প্রান্তিক মানুষদের হাতে খাবার তুলে দিতে পেরে। তাদের মুখে হাসি ফোঁটাতে পেরে আমরা নিজেরা গৌরবান্বিত হলাম ।এটা বড় প্রাপ্তি। বিয়ের পরে ও এই ধরনের মানবিক প্রয়াস চালিয়ে যাব সাধ্যমতো পরিকল্পনা রয়েছে।

পাত্রী নববারাকপুর নিবাসী অধ্যাপিকা সঞ্চরিতা দত্ত জানান আগামী ২১শে নভেম্বর ২০২১ আমাদের বিবাহ। যে সমস্ত মানুষগুলো এই বিয়েবাড়ির আনন্দ, ভালো খাওয়াদাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তাদের সেই আনন্দটা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল আমাদের। যাত্রিক ক্লাবের শ‍্যামাপুজোর সহযোগিতায় আমরা দুজন মিলে সেটা সুসসম্পন্ন করেছি। বাঙালী বিয়েতে যেসমস্ত খাওয়ার থাকে― বিরিয়ানি, ভাজা থেকে চিকেন চপ এসবের আয়োজন করা হয়েছিল।

আশা রাখি, আগামী দিনেও আমরা এরকম কাজ চালিয়ে যেতে পারবো। যাত্রিক ক্লাবকে আন্তরিক ধন‍্যবাদ জানাই, আমাদের কাজে সবরকম সহযোগিতা করার জন‍্য। দুঃস্থ মানুষদের খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে ক্লাব যথেষ্ট সাহায‍্য করেছে। বিয়ে বাড়ীতে যত পরিমাণ লোক থাকে, প্রায় ১০০-১২০ জন, সেরকমভাবেই ১২০জন দুঃস্থের হাতে খাবার তুলে দেওয়া হয়েছে। বসে খাওয়ানো সম্ভব হয়নি কোভিড পরিস্থিতির কারণে।আশা করি, পরবর্তী সময়ে এইসব মানুষদের বসিয়ে নিজেদের হাতে খাবার পরিবেশন করে দিতে পারবো।