অবতক খবর,৩ আগস্টঃ পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ।রাজ্যজুড়ে এবার পালা পঞ্চায়েত ভোট গঠনের যদিও কোর্টের নির্দেশে সেটাও বহাল রয়েছে।
পাশাপাশি হরিণঘাটা বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোটের পরে এখনো পর্যন্ত পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন হয়নি।
একদিকে সাধারণ মানুষ স্থানীয় পঞ্চায়েতে গেলে কোন রকম ভাবে সরকারি পরিষেবা যেমন পাচ্ছেন না,ঠিক পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন কবে হবে তা এখনো ঠিকমতো জানেনা স্থানীয় প্রশাসন।
হরিণঘাটা ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেমন অনেকটাই দখল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস কিন্তু তারা সঠিকভাবে এখনো অব্দি পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করতে পারেনি। পাশাপাশি ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই একটু একটু ফাটল ধরতে সৃষ্টি হয়েছে। কান পাতলে তা শোনা যাচ্ছে প্রকাশ্যে। যদিও সংবাদ মাধ্যমের সামনে সরাসরি কেউ ক্ষোভ উগরে না দিলেও দলের বিরুদ্ধে কিংবা বর্তমান হরিণঘাটা ব্লকের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ দেখা দিচ্ছে।
ইতিমধ্যে নগরউখড়া টু পঞ্চায়েতে বাজার ও একাধিক এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে পোস্টারে সেখানে লেখা আছে, নগরউখড়া টু অঞ্চলের দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নেতা রব্বুল রহমানকে যদি প্রধান করা হয় তাহলে দু’নম্বর অঞ্চলের সমস্ত জনসাধারণ তাকে প্রধান হিসেবে মানবে না।
ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত পোস্টার ঝিকরাবাজার, দিগল গ্রাম ও বিভিন্ন এলাকার জুড়ে দেখা যাচ্ছে।
নগরউখরা টু গ্রাম পঞ্চায়েতের মূল প্রবেশদ্বার গেটে তৃণমূল নেতা রবুল রহমানের পোস্টার দেখা যাচ্ছে।
যদিও এই নিয়ে অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের পুরাতন তৃণমূল কর্মীরা মেনে নিতে পারছেন না তাকে। পাশাপাশি বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস নেতা ও রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশিস গাঙ্গুলীর খুব ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে এই তৃণমূল নেতা রব্বুল রহমান।
যদিও এই নিয়ে একটু হলেও বিপাকে পড়েছে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস হরিণঘাটা ব্লকের সভাপতি ও প্রাক্তন নগরকরা টু গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নারায়ণ চন্দ্র দাস। যদিও এই নিয়ে একটু হলেও তিনি দলেরই উচ্চতর নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
তার দাবি যদি এইভাবে দল কোনরকম ব্যবস্থা না নিয়ে চলতে থাকে তাহলে আগামী সামনে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে খুব একটা ভালো জায়গায় থাকবে না এবং হরিণঘাটা দ্বিতীয়বারের জন্য আবারও লোকসভায় পরাজিত হবে। তার জন্য দায়ী থাকবে জেলার উচ্চতর নেতৃত্ব। এই নিয়ে এবার অনেকটাই দূরত্ব বেড়েছে বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেস রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবাশিস গাঙ্গুলীর সাথে বর্তমান তৃণমূল নেতা নারায়ণ চন্দ্র দাসের।