অবতক খবর,১১ই এপ্রিল,মলয় দে,নদীয়া:- হাঁসখালির ধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে ব্রজো গয়াল। এবার হাঁসখালী থানায় গিয়ে উপস্থিত হল রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল সভাপতি রত্না ঘোষ কর সেখানে গিয়ে তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা দেওয়ার প্রস্তাব রাখেন প্রশাসনের কাছে এবং তৎসহ তিনি জানান, যদি কেউ ভেবে থাকে তৃণমূলের পতাকা তলে থেকে দোষ করবে এবং সে কোন রকম শাস্তি পাবে না, সেটা ভুল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন যে, অন্যায় করবে তার শাস্তি পেতেই হবে। সুতরাং এখানে তৃণমূল করে বলে সে পার পাবে তা কখনই নয়। রাজ্যের প্রশাসন অভিযোগ পাওয়ার পর পরই দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে অভিযুক্তকে আদালতে পাঠিয়েছে। এর থেকেই বোঝা যায় প্রশাসনিক তৎপরতা তুঙ্গে এবং বিজেপির ডাকা 12 ঘণ্টা বন্ধ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কিছু মানুষ রাজনৈতিক ফায়দা নেয়ার জন্য এবং সাধারণ মানুষের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য এহেন বন্ধ ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস কখনোই বন্ধের পক্ষে নয়। আমরাও চাই অভিযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক সাজা হোক এবং যারা এই ঘৃণ্য কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদেরকে পুলিশ দৃষ্টান্তমূলক সাজা দিক।
আজ রত্না ঘোষ কর এর সাথে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেতা সমীর কুমার পোদ্দার, তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়, যদি সত্যিই দোষীদের শাস্তি তৃণমূল চায় তাহলে কেন এতদিন পর তারা পথে নামল তাদের নেতা নেত্রীদের বাঁচানোর জন্য কি এতদিন মুখে কুলুপ এঁটে ছিল?
বিজেপির পক্ষ থেকে আরো জানানো হয় সারা রাজ্যে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যে ভাবে মানুষের ক্ষতি করে চলেছে তাতে করে বোঝা যাচ্ছে রাজ্যজুড়ে খুন সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করছে দিনের পর দিন এই তৃণমূল কংগ্রেস। আজ পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে বলে তার দোষ ঢাকতে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই ধর্ষিতা যুবতীর মৃতদেহ তড়িঘড়ি সৎকার করা হয় এবং শ্মশানে জল ঢেলে তার অস্থি নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার চেষ্টা করে তৃণমূল ,তবে হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডে রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে, থানায় জেলা সভাপতি যাওয়া মানে গোপন জবানবন্দিতে ব্যাঘাত ঘটতে পারে বলে মনে করছে বিজেপির একাংশ।